জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সে এখনও এসে পৌঁছয়নি। কিন্তু তার আগেই তার ধ্বংসাত্মক কাজকর্ম সংকটে ফেলে দিয়েছে একটি দেশকে। ক্রমঅগ্রসরমান এক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে ফিলিপিন্সে। আর তার জেরে বন্যা ও ভূমিধসে দারুণ দুর্যোগ নেমে এসেছে দক্ষিণ ফিলিপিন্সে। এর ফলে কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ বহু। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। আসলে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘নলগায়ে’। সেই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Vladimir Putin: পুতিনের হুমকি, পশ্চিমিদের বাড়বাড়ন্তের দিন এবার শেষ হতে চলল...


দুর্যোগ মোকাবিলায় নিয়োজিত সে দেশের কর্মকর্তারা বলছেন, শুক্রবার রাত নাগাদ মধ্য ফিলিপিন্সের সামার প্রদেশের উপকূল অঞ্চলে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। মিন্দানাওয়ের বাংসামোরো অঞ্চলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগুইব সিনারিম্বো বলেছেন, মাগুইন্দানাও প্রদেশে যা আশঙ্কা করা হয়েছিল তার চেয়েও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাসিন্দাদের যা আশঙ্কা ছিল দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তার চেয়েও বেশি বৃষ্টিপাত ঘটেছে। প্রকাশিত ছবিতে দেখা গিয়েছে, রাবারের নৌকা ব্যবহার করে বুকসমান জলে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করছেন উদ্ধারকর্মীরা।


ফিলিপিন্সে ঝড় অবশ্য নতুন কিছু নয়। এখানে ঘূর্ণিঝড় প্রায়ই আঘাত হানে। ফিলিপিন্সে গড়ে প্রতিবছর ২০টির মতো টাইফুন তথা ঘূর্ণিঝড় হয়। আর তার জেরে এখানে বারবার বন্যা ও ভূমিধসের মতো ঘটনা ঘটে।


জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় নলগায়ে ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার গতির ঝোড়ো বাতাস নিয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এতে বিমান যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিছু বন্দরের কাজকর্মও স্থগিত। ফিলিপিন্স সাগর অতিক্রম করার সময়ে ঘূর্ণিঝড়টির তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসন সকলেই আতঙ্কিত রয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)