জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে তুরস্ক ও সিরিয়া। তুরস্ক-সিরিয়া মিলিয়ে মৃত্যুসংখ্যা ২০০০ -রও বেশি বলে জানা গিয়েছে। যা পরিস্থিতি তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। ভোররাতে যখন সকলে ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময়ে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১২ হিন্দু মন্দির ধ্বংস! বহু মূর্তি ভাঙচুর


এখনও পর্যন্ত তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ২০০০ -রও বেশি জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ৫ ঘণ্টায় ২২ বার আফটারশক হয়েছে তুরস্ক-সিরিয়ায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা জানিয়েছে, সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার এই শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত করেছে। এর পরে ৬.৭ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্পও হয়েছে।


আরও পড়ুন: Russia Ukraine War: 'আপনি কী জেলেনস্কিকে হত্যা করতে চান!', উত্তরে কী বললেন পুতিন?


ইউএসজিএসের তথ্য বলছে, প্রাথমিক ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি শহরের ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ১৭.৯ কিলোমিটার গভীরে। দ্বিতীয়টি আঘাত হানে এর কয়েক মিনিট পরে মধ্য তুরস্কে, ৯.৯ কিলোমিটার গভীরে।


যদিও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং মৃত বা আহতের সংখ্যা সম্পর্কে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট এবং ভিডিয়োগুলি থেকে মনে করা হচ্ছে, বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বিএনও নিউজ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তূপে বহু লোক আটকে পড়ার আশঙ্কা।


গাজিয়ানটেপের দক্ষিণাঞ্চল তুরস্কের অন্যতম প্রধান শিল্প ও উৎপাদন কেন্দ্র। এটি সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল। লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসে কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


তুরস্ক কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও মৃত্যু বা আহতের খবর দেয়নি, তবে সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতে পোস্ট করা ভিডিওগুলিতে দেশের দক্ষিণ-পূর্বের বেশ কয়েকটি শহরে ভেঙে পড়া ভবনগুলি দেখা গিয়েছে। তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে। ১৯৯৯ সালে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ছিল এই এলাকা। এই ভূমিকম্প কয়েক দশকের মধ্যে তুরস্কে সব চেয়ে মারাত্মক আঘাত হানা এক ভূমিকম্প হিসেবে স্বীকৃত। সেই ভূমিকম্পে ইস্তাম্বুলে প্রায় ১,০০০-সহ ১৭,০০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘকাল ধরে সতর্ক করেছেন যে, একটি বড় ভূমিকম্প ইস্তাম্বুলকে ধ্বংস করতে পারে। অথচ নিরাপত্তা সতর্কতা ছাড়াই এখানে বিস্তৃত ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এলাজিগে একটি ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এই ঘটনায় ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সেই বছরই অক্টোবরে, এজিয়ান সাগরে ৭.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে ১১৪ জন নিহত এবং ১,০০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিলেন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)