জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:  কলকাতায় উদ্ধার হয়েছে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ ৪ এর সাংসদ অনোয়ারুল আজিমের মৃতদেহ। নিউ টাউনের এক আবাসন থেকে তাঁর মৃতদের উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছেন আনোয়ারুলের আপ্তসহায়ক। এমনটাই দাবি বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের। কলকাতায় সরকারিভাবে এমন কথা জানানো হয়নি। ফলে এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েছে। এনিয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, পরিকল্পনা করে খুনই করা হয়েছে সাংসদকে। ওই খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করেছে বাংলাদেশ পুলিস। এনিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে বাংলাদেশে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- 'কলকাতায় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে আমাদের এমপি-কে', দাবি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর!


আমাদের সোনার জামাই কিভাবে চলে গেল। তার টাকা পয়সা সব কিছু নিয়ে যেত, আমাদের জামাইকে ফিরিয়ে দিত। কেন এভাবে নিয়ে গেল। সে তো কাউকে ক্ষতি করেনি। তাকে কেন মেরে ফেলা হল। আমরা এর বিচার চাই। বুধবার দুপুরে এমপির বাস ভবনের নীচে এভাবেই বিলাপ করতে করতে বলছিলেন তার এক শাশুড়ি কালীগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর বিনা খাতুন। পাশেই এমপি আনারের রাজনৈতিক কার্যারয়ে সিড়িতে বসে বিলাপ করছিলেন, এমপি আনারের এক সহযোগী রুবেল হোসেন। তিনি বলেন ভারত যাওয়ার আগে তার সাথে শেষ কথা হয়। এসম সে বলেছিল চেকগুলো তুলে রাখ। গরিব মানুষের চেকগুলো তুলে রাখ। আমি ফিরে এসে চেকগুলো সব একসাথে বিতরণ করব। সে চলে গেল, এখন এভাবে কে গরিব মানুষের নিয়ে ভাববে।


উল্লেখ্য, কলকাতায় এসে গত ৯ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন আনোয়ারুল আজিম। শেষবার তিনি ছিলেন বরাহনগরে তার পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে। ১২ মে সন্ধ্যায় বরাহনগরে তাঁর পুরনো বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে যান আনোয়ারুল আজিম। রাতে সেখানে ছিলেন। পরদিন ডাক্তার দেখানোর জন্য বেরন। তারপর থেকেই নিখোঁজ তিনি। ১৩ তারিখ দুপুরে ডাক্তার দেখাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরনোর পর গোপাল বিশ্বাসের বাড়ি থেকে একটু দূরে একটি স্কুলের সামনে গোপালের এক পরিচিত তাঁকে একটি গাড়িতে তুলে দেন। সেই গাড়িতে চালক ছাড়াও একজন ছিলেন। গাড়িতে থাকা সেই তৃতীয় ব্যক্তিকেই নিয়েই দানা বেঁধেছে রহস্য।


ভারতে তার মরদেহ উদ্ধারের সংবাদ পাওয়ার পর আওয়ামী লিদের কার্যালয়ে উপস্থিত শত শত মানুষ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এমপি আনার জেলার কালীগঞ্জ শহরের ভূষণ রোড়স্থ বাড়িতে বসবাস করতেন। তার দুই মেয়ে স্ত্রী রয়েছে। এমপির নির্বাচনী এলাকা কালীগঞ্জ উপজেলার ১নং সুন্দরপুর দূর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওদু বলেন, আমরা তাঁর মৃত্যু সংবাদ শুনে রাজনৈতিক কার্যারয়ের সামনে এসেছি। তার মৃতদেহ ভারতে পাওয়া গেছে। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা বুঝতে পারছি না। এমপির সঙ্গে কারো কোন বিরোধ ছিল না। যা ছিল তা খুবই সামান্য কিন্তু তার জনপ্রিয়তা ছিল অনেক। তিনি বলেন তার পরিবার ঢাকাতে অবস্থান করবেন। তারা ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওয়া দিয়েছেন। তারা আসলে আরো কিছু জানা যাবে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)