জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হিজবুল্লার শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লার মৃত্যুর পর কোণঠাসা লেবানন। ইজরায়েলি বোমার বিধ্বস্ত রাজধানী বেইরুট। এরকম এক পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খোমেইনি। তবে ইরান সরকার তাঁকে নিরাপদ ও গোপন স্থানে নিয়ে গেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-এয়ার স্ট্রাইকে মৃত্যু হিজবুল্লা প্রধানের! ইজরায়েলের 'হত্যালীলা' চলছেই...


নাসরুল্লার মৃত্যুর পর খোমেইনি বলেন, গাজায় যারা ঘৃন্য কাজ করেছে তারাই এখন লেবাননে হামলা চালিয়েছে। এর বিরুদ্ধে মুসলিম দুনিয়ার রুখে দাঁড়ানো উচিত। লেবাননের মানুষের উপরে ইজরায়েল যে নৃশংস হামলা চালিয়েছে তাতে ইজরায়েলের জায়নবাদী নীতির নখ দাঁত বের হয়ে গিয়েছে। ওরা বুঝতে পারছে না এভাবে শিশু, নারী নিরীহ মানুষদের মারলেই লেবাননকে দমানো যাবে না। নাসরুল্লার মৃত্যুতে বড় কোনও ক্ষতি হবে না লেবাননের। এই অঞ্চলের ভাগ্য ঠিক করে দেবে অঞ্চলের প্রতিরোধ বাহিনী।


গতকাল বিকেলে লেবাননের রাজধানী বেইরুটে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। ওই হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয় হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরকে। হামলার সময় সেখানে ছিলেন হাসান নাসরুল্লাহ। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানান, বিমানবাহিনী হিজবুল্লার প্রধান সদর দপ্তর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। হামলায় ২ হাজার কেজির বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয় অত্যাধুনিক এফ-৩৫ বিমান থেকে। সেই হামলাতেই মৃত্যু হল নাসরুল্লার। শনিবার এক বিবৃতিতে নাসরুল্লার মৃত্যুর খবর স্বীকার করে হিজুবল্লা।


সোমবার থেকে দক্ষিণ লেবাননে ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল বাহিনী। এতে দেশটিতে নারী ও শিশুসহ ৭০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৮০০ জনের বেশি। এর আগে ২০০৬ সালে ইজরায়েল–হিজবুল্লাহ যুদ্ধ হয়েছিল। তারপর থেকে বর্তমান এই সংঘাতকে সবচেয়ে ভয়াবহ বলা হচ্ছে।



 (দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)