ওয়েবডেস্ক: আবু-বকর-আল-বাগদাদি। আইসিস নেতা। এই মুহূর্তে বিশ্বের 'মোস্ট ওয়ান্টেড' ব্যক্তি। তার অঙ্গুলিহেলনেই চলে দুনিয়া জুড়ে চলে ভয়ঙ্কর সব উগ্রপন্থী কার্যকলাপ। কোথাও বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় শ'য়ে শ'য়ে মানুষের, কখনও আবার প্রকাশ্য রাস্তায় বসে কেটে ফেলা হয় জীবন্ত মানুষের মুণ্ডু। এমন একজন 'রক্ত পিপাষু পিশাচ'কে  আদর্শ মানুষ বললেন বাগদাদির প্রাক্তন স্ত্রী সাজা-আল-দুলাইমি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাগদাদি তখন আইসিস নেতা ছিলেন না। ছিলেন আর পাঁচ জন মানুষের মতো সাধারণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। শিক্ষায় ছিল জীবনের আদর্শ। তিনি যেভাবে শিশুদের শিক্ষা দিতেন, একজন আদর্শ বাবাই পারেন শিশুকে ওইভাবে শেখাতে। কিন্তু হঠাতই সব পাল্টে গেল। যে মানুষটার কাছে শিশুরা ছিল প্রাণ, সেই মানুষটার কাছ থেকে তাঁকে পালিয়ে আসতে হয়েছিল নিজের সন্তানকে বাঁচানোর জন্য। মা হওয়ার খবর পাওয়ার পরই তাই দুলাইমি বাগদাদির কয়েদ থেকে পালিয়ে আসেন। অনেকবার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও দুলাইমি আর ফিরে যাননি। বাগদাদির কাছ থেকে মুক্তি পেলেও কয়েদ থেকে মুক্তি পাননি। আইসিস নেতার স্ত্রী হোয়ার অপরাধে বন্দি থাকতে হয়েছিল লেবানিজ জেলে।


বিয়ের পর বাগদাদির কাছে রাণি হয়ে থাকতে চেয়েছিলেন দুলাইমি। কিন্তু এখন নিজের জীবন থেকে মুছে ফালতে চান তাঁর 'স্বপ্নের রাজপুত্তুর'কে। মেয়ের ওপর স্বামীর ছায়াও পড়তে দিতে চান না। জেল থেকে মুক্তির পর ইউরোপে এসে মেয়েকে হয়ত একটা ভাল জীবন দিতে পারবেন, ভাল শিক্ষা দিতে পারবেন। কিন্তু আফশোস, নিজের এই পরিচয়টা মুছে ফেলতে পারবেন না যে, তিনি আইসিস জঙ্গী নেতা বাগদাদির প্রাক্তন স্ত্রী।