ওয়েব ডেস্ক: বাঙালির শব্দভাণ্ডারে বাঁশ নিয়ে বেশ মুখোরোচক কথা আছে। এই ধরুন, বাঁশ খাওয়া বা বাঁশ দেওয়া। কানে শ্রুতিকটূ শোনালেও এটা সত্যি বাঁশ আদ্যেপ্রান্তে আমাদের কাছে অপরিহার্য বস্তু। তা বলে বাঁশের সাইকেল?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঠিকই শুনেছেন বাঁশের সাইকেল। অ্যালুমিনিয়াম, স্টিলের থেকেও নাকি বেশি মজবুত হবে এই সস্তার, কার্বনবিহীন বাঁশের বাইসাইকেল। হঠাত্‍ বাঁশের বাইসাইকেল নিয়ে এত কথা কেন আজ? আফ্রিকার ছোট, গরিব দেশ ঘানায় এখন বাঁশের বাইসাইকেল নিয়ে হইচই ব্যাপার। ধাতুর সাইকেল ছেড়ে আধুনিক, স্টাইলিশ বাঁশের বাইসাইকেলের বিক্রি বেড়ে গিয়েছে প্রায় দেড়গুণ।


বুমারস ইন্টারন্যাশানাল সাইকেল নির্মাতা ঘানার প্রত্যন্ত গ্রামে গরিব মানুষদের ট্রেনিং দিচ্ছে বাঁশের বাইসাইকেল বানানোর। তাঁরা দাবি করছেন, ধাতুর সাইকেলের থেকেও অনেক বেশি শক্তিশালী, স্টাইলিশ এই সাইকেল। বুমারস ইন্টারন্যাশানালের সিইও কোবেনা দানসো জানান, "বাঁশের সাইকেল উত্‍পাদনে অনেক যুবক রোজগারে সন্ধান পেয়েছে। এর চাহিদা বাড়ায় কাজের নতুন দিশা দেখাচ্ছে বাঁশের বাইসাইকেল। ঘানা ছাড়িয়ে বিভিন্ন দেশে এই সাইকেল রপ্তানিও করা হচ্ছে।"



বাঁশ দিয়ে সাইকেল বানানো নতুন কোনও উদ্ভাবনী নয়। প্রায় দেড়শো বছর আগেও বাঁশের সাইকেলের ব্যবহার ছিল। ১৮৯৪-এ ইংল্যান্ডের বাম্বু সাইকেল কোম্পানি তৈরি করে বাম্বু বাইক। পাশাপাশি ওই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বাঁশের সাইকেল। কিন্তু কল-কারখানার যত উন্নতি হয়ছে তার সঙ্গে ফিকে হয়ে গিয়েছে হাতে তৈরি বাঁশের বাইসাইকেলের মতো অনেক ক্ষুদ্র শিল্প। কিন্তু ফের এই শিল্পকে তুলে ধরতে বেশ কিছু কোম্পানি এগিয়ে এসেছে। প্যাডেল ফরওয়ার্ড সাইকেল প্রস্তুকারক বিশ্বের কাছে বাঁশের সাইকেলকে তুলে ধরার জন্য অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের ওয়েবসাইট থেকে মাত্র ৫০০ ডলারে পেয়ে যাবেন দারুন স্টাইলিশ বাঁশের বাইসাইকেল।


বিশ্বে যখন বাঁশের বাইসাইকেল নিয়ে এত হইচই, বিশ্ববাংলাই বা বাদ যায় কেন? ক্ষুদ্র শিল্পে রাজ্য সরকারে উত্‍সাহ বৃহত্‍। আর বাঁশের উত্‍পাদনও যথেষ্ট। তাই একটু বাড়তি উত্‍সাহ যোগ হলেই চপ, তেলেভাজার মতো বাংলায় নতুন শিল্প গড়ে উঠতেই পারে। বাঁশের বাইসাইকেল। যদি বাস্তবে সত্যি সম্ভব হয় তখন হয়ত 'বাঁশ খাওয়া বা বাঁশ দেওয়া' ব্যকরণও পাল্টে যেতে পারে। আপনি কী বলেন?