নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশে নারী নিরাপত্তা যে কতটা তলানিতে ঠেকেছে, তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির বিস্ফোরক রিপোর্ট। বিগত এক বছরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ধর্ষণের খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যেখানে দাবি করা হয়, গত ১৩ মাসে কেবল বাসের মধ্যেই ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২১ জন। যার মধ্যে ৯ জন বাস চালক এবং হেল্পারের যৌনলালসার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আর এই রিপোর্ট সংবাদমাধ্যের শিরোনামে আসতেই তোলপাড় বাংলাদেশ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- চাঁদার দাবি না-মানায় বাংলাদেশে হামলা হিন্দু পরিবারের বাড়িতে


জানুয়ারি ২১, ২০১৭- গাবতলি থেকে নবিনগর রুটে যৌন হেনস্থার শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটে গাবতলি বাস টার্মিনালে। 
এপ্রিল ৯, ২০১৭- ঢাকা-আরিচা উড়ালপুলে স্বামীর সামনেই স্ত্রীকে ধর্ষণ। 
জুলাই ৩১, ২০১৭- পদ্মা পরিবহনে কিশোরীকে গণধর্ষণ।
অগস্ট ১, ২০১৭- নারায়ণগঞ্জ থেকে গাজিপুর যাওয়ার পথে কিশোরীকে গণধর্ষণ। অভিযুক্ত বাস চালক মেহেদি হাসান এবং খালাসি সোহন। 
অগস্ট ৮, ২০১৭- ঢাকা বনানীতে অপহরণ করে যুবতীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ইমরান হাসান নামের এক ব্যক্তি। 
অগস্ট ১১, ২০১৭- ময়মনসিংহে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ। অভিযুক্ত বাস চলক জয়নাল আবেদিন এবং খালাসি রিপন নামের যুবক। 
অগস্ট ২৫, ২০১৭- জাকিরা সুলতান রূপাকে ধর্ষণ করে খুনে অভিযুক্ত বাস চলক সহ আরও তিন। উল্লেখ্য, এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ঘটনায় দোষীদের মধ্যে বাস চালক সহ আরও তিন জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি একজনের ৭ বছরের কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেছে নিন্ম আদালত। 
নভেম্বর ১৩, ২০১৭- বাস চলক এবং খালাসির যৌন লালসার শিকার হয় এক স্কুলছাত্রী।


(তথ্য-ঢাকা ট্রিবিউন)