নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর-পূর্ব ভারতে তুমুল বিক্ষোভের আবহে সফর বাতিল করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। সফর বাতিলের কারণ হিসাবে আবদুল মোমেন ব্যাখ্যা দেন, আগামী ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। এছাড়া বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মাদ্রিদ এবং বিদেশ সচিব হেগে রয়েছেন। সেই কারণে এই মুহূর্তে ভারতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ দিল্লি পৌঁছনোর কথা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকাল রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়ে যাওয়ায় অসম,ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে বিক্ষোভ। রাস্তায় টায়ার জ্বেলে প্রতিবাদ জানায় বিক্ষোভকারীরা। দোকানপাটে হামলা চালানো হয়। পোড়ানো হয় বাস। মোতায়েন করা হয়েছে আধা সেনা। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। গতকাল থেকে অসম এবং ত্রিপুরার অধিকাংশ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বিঘ্নিত হচ্ছে বিমান চলাচলেও।



নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করার সময় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবেশী দেশগুলিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, বাংলাদেশে শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সংখ্যালঘুদের সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষিত ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জীবনযাপন। তাঁর অভিযোগ, সে দেশে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা কমে যাওয়ার পিছনে হত্যা, ধর্মান্তিরত বিষয় রয়েছে।


আরও পড়ুন- 'NRC-CAB এনে সেকুলার থেকে হিন্দু রাষ্ট্র করার চেষ্টা,'প্রতিবাদের ডাক বামেদের


এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবদুল মোমেনের দাবি, সংখ্যালঘুরা এ দেশে নিপীড়িত, এ খবর ভুয়ো। সরকারের বিভিন্ন বড় পদে সংখ্যালঘুরা রয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ভারত অসহিষ্ণুতার দেশ বলে পরিচিত। ভবিষ্যতে এই জায়গা থেকে সরে এলে দু’দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে।