জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ-বাতিলের দাবিতে রণক্ষেত্র বাংলাদেশ। ফলে হাসিনা সরকার কার্ফু জারি করেছিল আগেই। ইতোমধ্যেই জানা গিয়েছে, আন্দোলনের জেরে শতাধিকের মৃত্যু হয়েছে। বহুসংখ্যক নিহত। আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্রিয় প্রশাসন ও পুলিস। গোটা দেশ জুড়ে টহলদারি সেনার। পরিস্থিতি সামলাতে এবার আরও কড়া পদক্ষেপে নির্দেশ জারি করেছে হাসিনা সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, শনিবার ওপার বাংলায় 'শ্যুট অন সাইট'এর নির্দেশ জারি করেছে। অর্থাৎ দেখামাত্রই গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হল সেনাবাহিনীকে। কারফিউ অমান্যকারীদের জন্য এই নির্দেশ জারি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়ুল কাদের বলেছেন, 'রবিবার পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে জনতার উপর গুলি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।' আগামী রবিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে কার্ফু চলবে। তারপর পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 


মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এবং পুলিস সহিংস বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় শুক্রবার বাংলাদেশ সরকার একটি জাতীয় কারফিউ জারি করে এবং সামরিক বাহিনী মোতায়েন করে। শনিবার বিকেলে লোকেদের প্রয়োজনীয় কাজ চালানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য কারফিউটি সংক্ষিপ্তভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছিল, তবে অন্যথায় লোকদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সমস্ত জমায়েত এবং বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


রাস্তায় সেনা থাকা সত্ত্বেও উল্টোদিকে মারমুখী ছাত্ররা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে লাঠিসোটা নিয়ে। ঢাকা-সহ অধিকাংশ শহরে টোটাল শাট ডাউন। বিরেল যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ, বন্ধ ইন্টারনেট। ফলে বেশিরভাগ স্থানীয় সংবাদপত্রের ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়-সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক ও বিকৃত করা হয়েছে মনে করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন:Bangladesh Quota Movement: অশান্ত বাংলাদেশ! প্রতিদিন গড়ে ২.৫ কোটির লোকসান, চিন্তায় হাওড়ার মাছ ব্যবসায়ীরা...


২০১৮ সালেও, ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের পর সরকারি চাকরির কোটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের জুন মাসে, বাংলাদেশের হাইকোর্ট সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে। এবং ১৯৭১ সালে প্রবীণদের আত্মীয়স্বজনকা পিটিশন দাখিল করার পর কোটা পুনর্বহাল করে। হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেছে বাংলাদেশ সরকার। আজ সেই মামলার শুনানি রয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত নিহত ও আহতদের কোনও আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানায়নি।


এরই মধ্যে হাসিনার মন্তব্য, যারা কোটা বিরোধী, তারা সবাই রাজাকার, আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। কোটা বিরোধী এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে মূলত ছাত্রসমাজ। ভালমত প্রভাব রয়েছে জামাত শিবিরের। পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না হাসিনা। ঢাকার রাস্তায় শুধু পুলিস বা RAB নয়, নেমে পড়েছে সেনা, সীমান্ত রক্ষী বাহিনীও। অন্যদিকে, ঢাকার পরিস্থিতির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে দিল্লি। হাজার সাতেক পড়ুয়া-সহ দশহাজার ভারতীয় এই মুহূর্তে বাংলাদেশে। তাঁদের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী বিভিন্ন ল্যান্ড ট্রানজিট পয়েন্ট বা ফ্লাইটে ভারতে ফিরে এসেছে। বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন যে বিদেশ মন্ত্রক বাংলাদেশে ভারতীয়দের নিরাপত্তা ও মঙ্গল নিশ্চিত করার জন্য সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করছে। নেপাল এবং ভুটানের ছাত্রদের অনুরোধের ভিত্তিতে ভারতে প্রবেশে সহায়তা করা হয়েছে।


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)