নিজস্ব প্রতিবেদন: একেবারে ফিল্মি কায়দায় পরীক্ষায় টোকাটুকির চেষ্টা! তবে পরীক্ষায় এই কৌশলে টুকলির ভাবনা বোধহয় এখনও কোনও সিনেমায় দেখানো হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এক পরীক্ষার্থী তাঁর মতোই দেখতে আট জনকে জোগাড় করলেন। তাঁর ১৩টি পরীক্ষার জন্য এই আট জনকে কাজে লাগানো হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরও শেষরক্ষা হয়নি। পরীক্ষার হলে ধরা পড়ে যায় ওই নকল পরীক্ষার্থীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চমকে দেওয়ার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ‘বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটি’তে (বিওইউ)। জানা গিয়েছে, অভিনব কায়দায় পরীক্ষায় টুকলি করতে গিয়ে ধরা পড়া পরীক্ষার্থীর নাম নির্বাচিত তামান্না নুসরত বাবলি। তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের সাংসদ। সাংসদের এই জালিয়াতির খবর সে দেশের সামাজিক মাধ্যমে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিভিন্ন মহলের হাজার হাজার মানুষ।


উচ্চমাধ্যমিক পাশ এই সাংসদ স্নাতক হতে চেয়েছিলেন। সেই জন্য মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনাও শুরু করছিলেন তিনি। কিন্তু পরীক্ষার সময় নিজে না বসে জোগাড় করে পাঠালেন আট জন ‘ড্যামি’কে। পরীক্ষা দিতে গিয়ে তাঁদেরই একজন ধরা পড়ে যায় হাতেনাতে। ধরা পড়ার পর নকল ওই পরীক্ষার্থীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেন তিনি তামান্না নুসরতের জায়গায় পরীক্ষা দিচ্ছেন? উত্তরে ওই ‘ড্যামি’ পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আমিই তামান্না নুসরত বাবলি। পরীক্ষার পরিচয়পত্র হারিয়ে গিয়েছে। এর জন্য থানায় জিডি করা হয়েছে। জিডির কপি দেখিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছি।’ কিন্তু এই গল্প তখন আর বিশ্বাস করেননি অধ্যাপকরা।


আরও পড়ুন: Thug Life! মুখে সিগারেট নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আরশোলা, রইল ভিডিয়ো


বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তামান্না নুসরত বাবলিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলের এই সাংসদের জালিয়াতির ঘটনার সমালোচনায় উত্তাল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই জালিয়াতির দায়ে হয়তো সাংসদ পদও খোয়াতে পারেন তামান্না নুসরত বাবলি।