Bangladesh: তিনি দেশবাসীকে ভরপেট খাবার দিচ্ছেন, তবু মানুষ মাংসের জন্য ছুটছে! ক্ষোভ প্রধানমন্ত্রীর...
Bangladesh: হাসিনা বলেন, কেউ আমাদের ডাল-ভাত খাওয়াতে চাইল, কেউ আমাদের আলু খাওয়াতে চাইল, মাছে-ভাতে বাঙালি আমরা; মাছ-ভাত পেলেই যথেষ্ট। সেটাই আমরা চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। কাজেই আমরা সেদিকেই দৃষ্টি দিয়েছি। এখন অন্তত বলতে পারি, মাছ-ভাতের অভাবটা নেই, ডাল-ভাতেরও অভাব নেই। তবে মানুষের চাহিদা এখন মাংস!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কৃষি গবেষণা ও উৎপাদনে সফলতার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন অন্তত বলতে পারি, মাছ-ভাতের অভাবটা নেই, ডাল-ভাতের অভাব নেই। তবে মানুষের চাহিদা এখন মাংস। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে তিনি এই কথা বলেন।
হাসিনা বলেন, আমাদের আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, যেমন খালেদা জিয়া ঘোষণা করলেন, দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াবে। সেই ডাল-ভাত খাওয়াতেও কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল তারা। এরপর ২০০৭ সালে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ফখরুদ্দিন সাহেব প্রধান উপদেষ্টা, ইয়াজউদ্দিন রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান মঈন উদ্দিন। মঈন উদ্দিন আলু খাওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। এদিকে তখন মানুষ ভাত পাচ্ছে না! কিন্তু তাতে কী! ওরা বলে দিল মানুষ আলু খাবে!
হাসিনা বলেন, কেউ আমাদের ডাল-ভাত খাওয়াতে চাইল, কেউ আমাদের আলু খাওয়াতে চাইল, মাছে-ভাতে বাঙালি আমরা; মাছ-ভাত পেলেই যথেষ্ট। সেটাই আমরা চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। কাজেই আমরা সেদিকেই দৃষ্টি দিয়েছি। এখন অন্তত বলতে পারি, মাছ-ভাতের অভাবটা নেই, ডাল-ভাতেরও অভাব নেই। তবে মানুষের চাহিদা এখন মাংস! কথাপ্রসঙ্গে মাছের কথাও ওঠে। বাংলাদেশ এখন মিষ্টি জলের মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ জানিয়ে হাসিনা বলেন, এত খালবিল, নদীনালার দেশ আমাদের! আমাদের দেশের মানুষের কেন আমিষের কষ্ট হবে? খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আওয়ামি লিগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
সমুদ্র সম্পদ আহরণের উপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। আজকে এই সমুদ্র-সম্পদ আমাদের কাজে লাগানোর জন্য আমরা 'সুনীল অর্থনীতি'র কথাও ঘোষণা করেছি। তবে, দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, গভীর সমুদ্রের সম্পদ আমরা এখনও আহরণ করতে পারিনি!