জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আমদানি-রফতানি বিশ্বের বহু প্রাচীন ব্যাপার। এরই মধ্যে দিয়ে দেশ এগিয়ে যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে তৈরি হয় সম্পর্ক। কিন্তু কী কী আমদানি-রফতানি করা হবে তার একটা মান্য সীমারেখা থাকে। কেউ কোনও দিন কোনও দেশকে ভিখারি রফতানি করতে দেখেছে বা শুনেছে? শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এমনই ঘটেছে। ঘটেছে একেবারে ভারতের ঘাড়ের কাছে। পাকিস্তান থেকে রফতানি করা ভিখারিতে অতিষ্ঠ পশ্চিম এশিয়ার দেশ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: New Continent: সম্পূর্ণ নতুন এক মহাদেশ খুঁজতে লেগে গেল প্রায় ৪০০ বছর...


সন্ত্রাসবাদের প্রচারক হিসেবে পাকিস্তানের দুর্নাম আছে। পাকিস্তানের এই সন্ত্রাসবাদ জিইয়ে রাখার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী ভারত। পাকিস্তান বিশ্বের অন্যতম বড় গাধা-রফতানিকারী দেশ। পাকিস্তান তাদের গাধা মূলত পাঠায় চিনে। এবার শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তান নাকি ভিখারিও রফতানি করছে! শোনা যাচ্ছে, বিষয়টি এতই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে, সৌদি আরব ও ইরাকের মতো দেশ পাক সরকারকে অনুরোধ করেছে, তারা যেন তাদের দেশের ভিখারিদের নিয়ন্ত্রণ করে!


না, নিশ্চয়ই ভিখিরি 'রফতানি' নয়। 'রফতানি' শব্দটা এখানে কিঞ্চিৎ ব্যঙ্গের সুরেই ব্যবহার করা হয়েছে। আসলে এই সব অঞ্চলে ভিক্ষাজীবী জনগোষ্ঠীর সিংহভাগই পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে, যাঁদের নিশ্চয়ই পাকিস্তান থেকে সেই-সেই দেশে পাঠানো হয়নি! তবে এটা বাস্তব যে, সৌদি ও ইরাকের কারাগারে হাজার হাজার পাক-ভিক্ষুক বন্দি! শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে, মক্কার মসজিদ-এলাকা থেকে যত পকেটমার গ্রেফতার হয় তার অধিকাংশই পাকিস্তানের!


কেন এরকম ঘটেছে? 


আসলে, বহুদিন ধরেই পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। দেশটিতে খাদ্যসংকট চূড়ান্ত। দ্রব্যমূল্য সাংঘাতিক। সাধারণ মানুষ ন্যূনতম খাবারটুকুই কিনতে পারছেন না! দারিদ্র্য বাড়ছে, অনাহার বাড়ছে। বহু মানুষের দৈনন্দিন জীবন সেখানে বিপর্যস্ত। রাষ্ট্রও প্রায় বিপন্ন হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তীব্র অচলাবস্থা চলছে। সব মিলিয়ে দেশটি নানাবিধ সংকটে। এই পরিস্থিতিতে বহু মানুষ কোনও ক্রমে বেঁচে থাকতে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে ভিড় জমাচ্ছেন। 


কী ভাবে ভিড় জমাচ্ছেন? চাইলেই কি এরকম যখন-তখন যে-কোনও দেশে চলে যাওয়া যায়?


আরও পড়ুন: China: এবার বীর্য বেচেও বিপুল রোজগার! জেনে নিন কোথায়, কীভাবে...


না, যায় না। তবে, এই সব দেশগুলিতে পাক বাসিন্দারা যাচ্ছেন মূলত একটিই উদ্দেশ্যে-- 'জিয়ারাত'। 'জিয়ারাত' মানে তীর্থযাত্রা। তীর্থযাত্রার ক্ষেত্রে তো কোনও বাধা নেই! তাঁরা মূলত উমরাহ করতে যাচ্ছেন এই কথা বলে ঢুকে পড়ছেন আরবে বা ইরাকে। এই মর্মেই ইরাক ও আরবের রাষ্ট্রদূতেরা পাকিস্তানকে জানিয়েছেন, পাকিস্তান যেন তাদের দেশের মানুষগুলির যত্রতত্র এই ভাবে ঘোরাফেরার উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)