ব্যুরো: বাংলায় গান তো আমরা সবাই গাই। কিন্তু সব গানের সুর-ছন্দ তো আর সমান হিল্লোল তোলে না বুকে। বাঙালি আবেগের সেই অনন্য মূর্ছনার ছোঁয়া পেতেই, নববর্ষ বরণের দিনে ২৪ ঘণ্টা পাড়ি দিয়েছিল বাংলাদেশের মাটিতে। যে বাংলাদেশ অভিজিত্‍ রায় বা ওয়াশিকুর রহমানের হত্যাকারীদের নয়। যার সঙ্কল্প, মৌলবাদের উর্ধ্বে উঠে সামনে এগিয়ে চলা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলার নববর্ষ। বাঙালির নববর্ষ। রাজনৈতিকভাবে দ্বিখণ্ডিত বাংলার দুপারের নববর্ষবরণের মাঝেও এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু মন কি কোনও বেড়া মানে?ওপার বাংলার পয়লা বৈশাখে, সেই সীমান্ত পেরিয়েই পৌছে গিয়েছিলাম আমরা।


ভাষা-সংস্কৃতিকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা এক জাতি। যার রক্তে বইছে বাংলা ভাষা। যার সম্মান-যার অস্বিত্ব রক্ষা করতে, রক্ত ঝরে রফিক, বরকত, জব্বারদের।  বাংলাদেশের মাটিতে বাংলার বর্ষবরণ আলাদা মাত্রা তো পাবেই!


রমনা বটমূল, নববর্ষে এই জায়গাই যেন হয়ে উঠেছিল এক অনন্য মিলনক্ষেত্র। পাশে শাহবাগ চত্বর। কয়েক পা এগিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঐতিহাসিক এক পৃষ্ঠভূমি।বর্ষবরণের দিন যেখানে মিলেমিশে এক সব বর্ণ-ধর্ম-জাতি।      


তবে এত জাঁকজমক, এত আড়ম্বর, নববর্ষ পালন- সব কি নিছক একটা উত্‍সব? একেবারেই না। এর তাত্‍পর্য আরও গভীরে।


অমর একুশে, আরেক পরিচয় বাংলাদেশের। তবু যেন তারও তুলনা চলে না নববর্ষের দিনটির সঙ্গে।