নিজস্ব প্রতিবেদন- বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় একটি মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দমকল বিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন, মসজিদের ছটি এসিতে একসঙ্গে বিস্ফোরণ হয়েছে। যার ফলে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে একটি বাচ্চা রয়েছে। বিস্ফোরণের সময় অনেকেই নামাজ আদায় করতে মসজিদে এসেছিলেন। কমপক্ষে ৩৭ জন এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত বলে জানা গিয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নারায়ণঞ্জে নদীর ধারে অবস্থিত বায়তুস সলাত মসজিদের এই বিস্ফোরণের শব্দ বহু দূর থেকে শোনা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জোরালে বিস্ফোরণের পরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রথমে নাশকতার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে পরে দমকল বাহিনী জানায়, এটি দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত নটা নাগাদ। শনিবার চিকিত্সাধীন অবস্থায় ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যে ৩৭ জন আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। বেশিরভাগেরই শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এই দুর্ঘটনায় দুঃপ্রকাশ করেছেন। তিনি ক্রমাগত পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন। চিকিত্সকদর ফোন করে তিনি আহতদের শারীরিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন।


আরও পড়ুন-  ''আমরা তো রবীন্দ্রনাথকে ভয় পাই না, ভারত PUBG-কে ভয় পায় কেন!'' প্রশ্ন চিনের


দমকল বাহিনী জানিয়েছে, মসজিদের ভেতর গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণ হয়েছে। জানা গিয়েছে, মসজিদের মেঝের নীচ দিয়ে গ্যাসের পাইপ গিয়েছে। সেই পাইপলাইনে ফুটো হয়ে মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমে ছিল। সেই অবস্থায় কেউ ভেতরে ইলেকট্রিক সুইচ অন করায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। আগুন ছড়িয়েছে দ্রুত। তারপর মসজিদের ছটি এয়ার কন্ডিশনারে বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে মসজিদর নিচ দিয়ে কী করে গ্যাসের পাইপ গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অনেকেই এখন বলছেন, মসজিদের পাশ দিয়ে গেলে তাঁরা গ্যাসের গন্ধ পেতেন।