ওয়েব ডেস্ক: জিয়া অনাথালয় ট্রাস্ট দুর্নীতিমামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল ঢাকার আদালত। একই মামলায় খালেদার ছেলে তারেক রহমানসহ অন্য ৫ অভি‌যুক্তকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। একই সঙ্গে তছরূপ করা ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকার সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে অভি‌যুক্তদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন খালেদার বিরুদ্ধে রায় নিয়ে সকাল থেকেই ঢাকা ছিল থমথমে। পথে ‌যানবাহন কম থাকায় শহরজুড়ে ছিল ধর্মঘটের ছবি। হিংসার আশঙ্কায় ঢাকাসহ গোটা বাংলাদেশে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল হাসিনা সরকার। শুধু ঢাকা শহরেই মোতায়েন ছিলেন ৬,০০০ পুলিসকর্মী ও ১৯ প্ল্যাটুন র‍্যাব। 


আরও পড়ুন - খালেদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায়ের আগে উত্তপ্ত ঢাকা


তবে তাতেও রোখা ‌যায়নি হিংসা। শেষ প‌র্যন্ত বেলা পৌনে ১২টায় বেগম খালেদা জিয়া গুলশনের বাড়ি থেকে বকসিবাজার আদালতের উদ্দেশে বেরোলে তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরেন বিএনপি সদস্য সমর্থকরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় পুলিস ও বিনএপি সমর্থকদের খণ্ড‌যুদ্ধ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠি চার্জ করে পুলিস। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যালের সেল। তাতেও পিছু হঠেননি বিএনপি সমর্থকরা। 


বৃহস্পতিবার বেলা ২টোর কিছু পরে আদালতে প্রায় ৬৩০ পাতার রায়ের সংক্ষিপ্তসার পড়ে শোনান বিচারক আখতারউজ্জামান। এর পরই খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে ‌যাওয়া হয়েছে। 


প্রায় ১০ বছর ধরে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলছিল এই দুর্নীতির মামলা। এর মধ্যে অন্তত ৩৯ বার উচ্চ আদালতে মামলা খারিজের আবেদন জানিয়েছেন। এদিনের রায়ের পর আটক করা হয়েছে খালেদা জিয়ার অপ্তসহায়ক। বেগম জিয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন রায় খতিয়ে দেখে উচ্চ আদালতে ‌যাওয়ার কথা চিন্তা করবেন তাঁরা।