নিজস্ব প্রতিবেদন: চাপে পড়ে নিজেরাই পিছু হটল মার্কিন বিমান সংস্থা বোয়িং। বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের উত্পাদন মাসে ২০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সংস্থার তরফে শুক্রবার জানানো হয়, চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকেই মাসে বিমান উত্পাদন ক্ষমতা ৫২ থেকে নামিয়ে আনা হচ্ছে ৪২টিতে। অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স দুর্ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে রোষের মুখে পড়ে বোয়িং সংস্থা। ভারত, বাংলাদেশ-সহ প্রায় সব দেশই ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান তাদের আকাশসীমায় নিষিদ্ধ করে। ইথিওপিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫৭ জন আরোহীর। তার পাঁচ মাস আগে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের বোয়িংয়ের একই মডেল দুর্ঘটনায় পড়ে ১৮৯ আরোহীর মৃত্যু হয়। পর পর বোয়িং বিমানের দুর্ঘটনায় কার্যত প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।


আরও পড়ুন- নির্দেশ মতো সব চেষ্টা করলেও রোখা যায়নি নিয়তি, ইথিওপিয়ান তদন্তে আরও বিপাকে বোয়িং


মনে করা হয়, বোয়িংয়ের অত্যাধুনিক এই মডেলটির সফটওয়্যার সংক্রান্ত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। ইথিওপিয়া এয়ারলাইন্স এবং লায়ন এয়ারের ক্ষেত্রে একই ত্রুটি লক্ষ্য করা যায় বলে প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে। ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রবার্ট সামওয়াল্ট জানান, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স ৩০২-র প্রাথমিক রিপোট মার্কিন তদন্তকারীদের হাতে এসে পৌঁছিয়েছে। দ্রুত খতিয়ে চূড়ান্ত রিভিউ জানানো হবে।


আরও পড়ুন- গণতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্রে পরিণত করেছেন মোদী-শাহ, কংগ্রেসে যোগ দিয়েই তোপ শত্রুঘ্নের


তবে, একটি কমিটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোয়িং সংস্থার বোর্ড। ওই কমিটি বিমানের ডিজাইন এবং পরিকাঠামোগত ত্রুটি খতিয়ে দেখবে। ৭৩৭ ম্যাক্সের প্রোগ্রামিং ত্রুটিমুক্ত করতে যথাপোযুক্ত পলিসি গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বোয়িংয়ের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, কর্মীদের উপর এর কোনও প্রভাব পড়বে না। আর্থিক সমস্যা মোকাবিলা করতে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। এত প্রতিশ্রুতির পরও শুক্রবার ২ শতাংশ শেয়ার দর বোয়িং সংস্থার।