ওয়েব ডেস্ক: 'পিতা হি ধর্ম, পিতা হি স্বর্গ, পিতা হি কর্ম', এই 'মন্ত্র' উচ্চারণ করার সময় প্রত্যেক সন্তানের নিজের পিতার প্রতি তাঁর আনুগত্য, শ্রদ্ধা প্রকাশিত হয়। পিতা শব্দের ভার কতটা তা বোধহয় পিতা না হওয়া পর্যন্ত অনুভব করা যায় না। ছোট বেলায় বন্ধুর পিতৃবিয়োগের পর পাড়ার কাকুদের মুখে শুনেছি, 'বাপ থাকতে, বাপের মর্ম বোঝে না কেউই'। ছোটবেলায় কাকু, জ্যাঠাদের মুখে শোনা এই কথাগুলো বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন আরও ভাবাতে শুরু করছে। সমাজ যাকে পিতা বলতে শেখালো সে আসলে কে? একজন পুরুষ! মায়ের স্বামী! এই চিরাচরিত পরিচয় ছাড়া যে বিষয়টি বৈজ্ঞানিক তা হলে সৃষ্টির দুই সৃষ্টিকণার একটি অবশ্যই পিতার অংশ। পিতা হইতেই সৃষ্টি। অবশ্যই মায়ের গর্ভে। আর সৃষ্টিকর্তাই যদি আবার আরও একবার জীবন ফিরিয়ে দেয়! তাহলে তিনি নিশ্চয়ই শুধু পিতা শব্দে আবদ্ধ থাকতে পারেন না। 'ভগবান'। 'ঐশ্বরিক'। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটা বলার আগে পিতার দায়িত্ববোধের কথা বোঝাতেই সূচনায় এতগুলো কথা লেখা। নিজের ৩ বছরের মেয়ের জীবন বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি মেয়েকে দিলেন বাবা। কেবল খবর হিসেবে দেখলে এই ঘটনার সামাজিক ও মানবিক দায়িত্ববোধকে ছোট করা হবে। নিজের জন্মদিনে চোখ বন্ধ করে বদ্ধ কেবিনে শুয়ে ছিল তিন বছরের এজমি। কোনও উপহার সেদিন এজমির বাবা তাঁর হাতে তুলে দিতে পারেনি। তারপর মনে মনে ঠিক করে ফেলেন মেয়ের জন্মদিনের উপহারে জীবন ফিরিয়ে দেবেন মেয়েকে। পাশাপাশি বিছানায় শুয়ে পিতার কিডনি প্রতিস্থাপিত হলে মেয়ের শরীরে।    


তিন বছর বয়সেই কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। তারপর একটানা ১৪ মাস ডায়ালেসিসের মধ্যে থাকেন ছোট্ট এজমি। এরপর শরীর আরও খারাপ করতে শুরু করে এজমির। ডায়ালেসিস চলাকালীনই স্ট্রোক হয় তিন বছরের এই ফুটফুটে কুঁড়ির। কোনও উপায় না পেয়ে কিডনি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় ডাক্তাররা। তিন বছরের এজমি'র মা ও বাবা দুজনেই কিডনি দেবেন বলে ঠিক করেন। ডাক্তারি পরীক্ষার পর এজমি'র বাবা লি'র কিডনি এজমিকে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেন ডাক্তাররা। এরপর ৩৭ বছরেরে বাবা লি, তাঁর ৩ বছরের সন্তান এজমিকে তাঁর কিডনি দান করেন।