নিজস্ব প্রতিনিধি— অ্যামাজনের বিস্তীর্ণ বনভূমিতে এখন মাঝেমধ্যেই দাবানল দেখা যায়। সেই দাবানল কি প্রকৃতিক? নাকি মানুষের জন্যই ভয়াবহ আগুন লাগছে সেখানে? গত বছরও ভয়াবহ দাবানলে আমাজনের বিস্তীর্ণ বনভূমি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। দাউ দাউ করে জ্বলেছিল পৃথিবীর ফুসফুস। সেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছিল বহু পশু—পাখি, গাছপালা। অ্যামাজনের সেই অবস্থা দেখে উদ্বীগ্ন হয়ে পড়েছিল সারা বিশ্ব। একইসঙ্গে ব্রাজিল সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছিল সারা বিশ্বের মানুষ। এতদিনে অ্যামাজন বনভূমি রক্ষার জন্য টনক নড়েছে ব্রাজিল সরকারের। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৃষ্টিচ্ছায় বনভূমি রক্ষার জন্য এবার অনন্য উদ্যোগ নিল ব্রাজিল সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্রাজিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যামিলটন মুয়ারাও জানিয়েছেন, চলতি বছরে দাবানলের সময় আসার আগেই অ্যামাজন রক্ষার জন্য সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। পরিবেশ ধ্বংসের অবৈধ কর্মকাণ্ড রুখতে সেনা সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অ্যামাজনের বিস্তীর্ণ বনভূমি রক্ষার জন্য বেসরকারি সংস্থার সাহায্যও নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে অনেকেই বলছেন, গত বছর সঠিক সময় উদ্যোগ নিলে হয়তো দাবানলে বিস্তীর্ণ বনভূমির ক্ষতি হওয়া আটকানো যেত। পরিবেশবিদদের অভিযোগ, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সরকারের বাণিজ্যপন্থী নীতির জন্যই আগুন দিয়ে বন ধ্বংসের ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল। গত ১১ বছরের মধ্যে ২০১৯—এ অ্যামাজনে বনভূমি ধ্বংসের হার ছিল সর্বোচ্চ। 


আরও পড়ুন— ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি থোড়াই কেয়ার! আমেরিকার সঙ্গে ব্যবসা করতে মুখিয়ে চিন


পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা ২০ শতাংশ অক্সিজেনের জোগান দেয় অ্যামাজন। বছরে ২০০ কোটি মেট্রিক টন টন কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এই বনভূমি। চলতি বছরে ইতিমধ্যে এক হাজার ২০২ বর্গ কিলোমিটার বন ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রাজিলের সরকার। ব্রাজিলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফার্নান্দো আজেভেদো ই সিলভা জানিয়েছেন, অ্যামাজনের তিনটি শহরে আর্মির অপারেশনাল ঘাঁটি বানানো হচ্ছে। অবৈধ কাঠ পাচারসহ বনভূমি ধংসের যাবতীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে আপাতত ৩৮০০ সেনা মোতায়েন করা হবে। প্রাথমিকভাবে এক কোটি ৩২ লাখ ডলার খরচ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।