নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার অথৈ জলে। যে এই প্রক্রিয়ার অন্যতম অগ্রণী, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীই এখন নোভেল করোনায় আক্রান্ত। রবিবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাউনিং স্ট্রিটের প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, বরিস জনসনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। কিছু পরীক্ষার জন্য ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ২৬ মার্চ বরিস জনসন করোনায় আক্রান্ত হন বলে জানা যায়। এরপর মাঝে মধ্যে ভিডিয়ো বার্তায় তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা নিজেই জানাতে থাকেন। আগের থেকে তিনি অনেক সুস্থ রয়েছেন বলে জানান। তবে, জ্বর এখনও রয়েছে। প্রয়োজন আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা। চিকিত্সকের পরামর্শ মেনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে খবর। গত দশ দিনে অফিসের কাজকর্ম ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবন থেকেই করছিলেন বরিস জনসন।


বরিস জনসের দ্রুত আরোগ্যের কামনা করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রত্যেক আমেরিকাবাসী প্রার্থনা করছেন। সূত্রের খবর, আরও গভীর পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য চিকিত্সকরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষা এবং অক্সিজেনের মাত্রা দেখার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। এমনকি সিটি স্ক্যানও করা হতে পারে বলে খবর।


আরও পড়ুন- আশ্চর্য ভাবে এখনও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ-মুক্ত পৃথিবীর এই ১৮টি দেশ!


জনসনের ঘরেতেও করোনার থাবা পৌঁছে গেছে। সূত্রের খবর, তাঁর বাগদত্তা ক্যারি সাইমন্ডসের মধ্যে করোনা উপসর্গ মিলেছে। তবে, অন্তঃসত্ত্বা ক্যারি এখনও করোনা পরীক্ষা করেননি বলে জানা গেছে। তিনি জানান, বরিসের করোনা পজেটিভ আসার পর থেকে একসঙ্গে থাকছেন না তাঁরা। ব্রিটেনে প্রায় ৪৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত। বরিস জনসন ছাড়াও তাঁর অফিসের স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক এবং জুনিয়র স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাদিন ডরিসও করোনায় আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫ হাজার।


চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসে ব্রিটেন। কিন্তু ব্রেক্সিটের সার্বিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে। বিশ্ব তথা ইউরোপে করোনার করাল থাবায় সব কিছু এখন ঢাকা পড়ে গিয়েছে। এই ভয়ার্ত পরিবেশ থেকে প্রত্যেকটি দেশ এখন বাঁচার চেষ্টা করছে। ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ টু জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানান, ‘আমরা জয়ী হবই এবং এই জয়ের কৃতিত্ব থাকবে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের। এখন আমাদের ধৈর্য এবং সংযম প্রদর্শনের সময়। একদিন ফের ফিরে পাব বন্ধু, আত্মীয়, পরিবার। ফের মিলিত হব একসঙ্গে সবাই।’