নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্রেক্সিটের পক্ষেই রায় দিল ব্রিটেন। সুনামি-সমর্থনে ফের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসছেন কনজারভেটিভ পার্টির বরিস জনসন। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে তাঁর দরকার ছিল ৩২৫টি আসন। তবে তার থেকেও বেশি আসনে জিতেছেন বরিস। মাত্র দুশো আসন পেয়ে ভরাডুবি লেবার পার্টি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিন বছরে কিচ্ছু পাল্টায়নি। ২০১৬-র গণভোটের মতোই এখনও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গ ছাড়তে  বদ্ধ পরিকর, জানিয়ে দিল ব্রিটেন। হাউস অব কমন্সে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা কনজারভেটিভদে। ৬৫০টির মধ্যে ৩২৫টির বেশি আসনে জিতে আরও একবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন বরিস জনসন। ২০০-র কাছাকাছি আসন পেয়েছে লেবার পার্টি


ইতিহাস গড়েছেন বরিস। মার্গারেট থ্যাচারের পর কনজারভেটিভ পার্টির আর কেউ এমন বিপুল জনসমর্থন পাননি। ব্রেক্সিট-বেট তাহলে জিতেই গেলেন তিনি! আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রেক্সিট সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে, জানিয়েছেন বরিস এই ভোটে কনজারভেটিভদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ব্রেক্সিটের পথই মসৃণ করল। এর আগে স্রেফ সংখ্যার অভাবে ব্রেক্সিট ডিল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাশ করাতে পারেননি টেরেজা মে। তাঁর ইস্তফার পর দায়িত্ব নেন বরিস। ব্রেক্সিট চুক্তি তিনি আগেই সেরে ফেলেছেন। কিন্তু পার্লামেন্টে সংখ্যার গেরোয় আটকে গিয়েছিল চুক্তি। ব্রেক্সিটকে সামনে রেখেই এগিয়ে আনা হয় সাধারণ নির্বাচন। এবার সংখ্যাতেও বাজিমাত করেছেন বরিস।



আরও পড়ুন- মোস্ট ওয়ান্টেড মাওবাদী নেতা রামান্নার মৃত্যু, স্বীকার করল সংগঠন


ব্রিটিশ পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এত বড় জয় আসবে আশা করেননি কনজারভেটিভ পার্টির নেতারাও। লেবার পার্টির দুর্ভেদ্য ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কিছু আসনে বিপুল ভাবে জিতেছে কনজারভেটিভ পার্টি। বামমনস্ক নেতার ঐক্যের ইস্তেহার ব্যালটে ডাহা ফেল। হারের ভার নিজের কাঁধেই নিয়েছেন দলনেতা জেরমি করবিন। ফল বেরোনোর পরেই  দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন করবিন। তিনি বলছেন, ঐক্যের ইসতেহার এখনও জনপ্রিয়। তবে ব্রেক্সিটের পক্ষে জনজোয়ারের কাছে সেই নীতি পরাস্ত হয়েছে। ব্রেক্সিট ভোটে ষোলো আনা সফল বরিস জনসন। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বরিসের স্লোগান ছিল, গেট দ্য ব্রেক্সিট ডান। যেমন কথা, তেমনি কাজ। করে দেখালেন প্রধানমন্ত্রী।