নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। দেশে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে ও উপমহাদেশের ৩ দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিতেই তৈরি করা হয়েছে নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ(CAA)।  এরমধ্যেই ভারতের ওই আইন নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-গঙ্গাবক্ষে সাঁতার কেটে CAA-র প্রতিবাদ জানালেন সাঁতারু


উপসাগরের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে নাগরিকত্ব আইনকে একেবারে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।  হাসিনা বলেন, ‘বুঝতে পারছি না কেন এমন আইন এনেছে ভারত সরকার।  এর কোনও প্রয়োজন ছিল না। তবে এটা একেবারেই ভারতের নিজস্ব ব্যাপার।’


অসম ও পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি উদ্বাস্তু আসতে শুরু করেছে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই। পরে একাত্তরে বাংলাদেশ হওয়ার পর তা বেড়েছে এক লাফে। অভিযোগ, সেখানে ধর্মীয় উত্পীড়নের শিকার হয়েই এদেশে আসছেন বাংলাদেশি হিন্দুরা।  হাসিনা ওই সাক্ষাতকারে বলেন, ‘ বাংলাদেশ বরাবরই বলে এসেছে এনআরসি(NRC)  ও সিএএ(CAA) ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। গত বছর অক্টোবরে দিল্লি সফরের সময়েও বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।’


উল্লেখ্য,গত সপ্তাহেই  এনআরসি ও সিএএ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনিও  সিএএ ও এনআরসিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেন।  মোমেন বলেন, ‘আমরা ভারতের এক নম্বর বন্ধু। বারাবর ভারত সরকার আমাদের জানিয়েছে এনআরসি ও সিএএ ভারতের নিজস্ব বিষয়। আইনের কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের আশঙ্কা হল এনিয়ে ভারতে যদি কোনও অস্থিরতা তৈরি হয় তাহলে তার প্রভাব প্রতিবেশীদের ওপরে পড়তে পারে।’


আরও পড়ুন-আর রাজপুত্র-যুবরানি নয়, হ্যারি-মেগান এখন শুধুই আম আদমি!


উল্লেখ্য, অসমে নাগরিকপঞ্জী তৈরি হওয়ার পর সেখান থেকে বহু মানুষ বাংলাদেশে চলে যাচ্ছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। অসমে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বেশি বলে দাবি করেছিল বিজেপি।  এনিয়ে সম্প্রতি হাসিনা মন্ত্বব্য করেছিলেন, ভারত থেকে কত মানুষ বাংলাদেশে এসেছেন তার কোনও রেকর্ড  নেই। এখানে ১৬ কোটি মানুষের ১০.৭ শতাংশ হিন্দু। পাশাপাশি এখন থেকে কেউ ভারতে যাননি।