জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কাল আদালতে যেতে পারব না। কারণ আমি এবার পুলিস হেফাজতে থাকব। সহকর্মীকে মেসেজ করে জানালেন বিচারক। তাতেই ঘাবড়ে গিয়ে খোঁজ নিতে শুরু করলেন তিনি। তখনই বেরিয়ে এল ভয়ংকর ঘটনা। জানা গেল নিজের স্ত্রীকে গুলি করে মেরেছেন বিচারক জেফ্রি ফার্গুলন। এমনকি তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৬ হাজার রাউন্ড গুলি ও ৪৭টি বন্দুক। দেখে শুনে চোখ কপালে উঠল পুলিসের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-চাঁদের আরও কাছাকাছি চন্দ্রযান ৩, আজ কঠিন পরীক্ষা ইসরোর


ক্যালফোর্নিয়ার ওরেঞ্জ কান্ট্রি সুপিরিয়র আদালতের বিচারক ফার্গুসনকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন তার মুখ থেকে তীব্র মদের গন্ধ বের হচ্ছিল। পুলিসকে তিনি বলেন, ভয়ংকর কাণ্ড করে ফেলেছি। কী হয়েছিল ঘটনার দিন? আদালতে ফার্গুলন জানিয়েছেন, বাড়ির কাছেই এক রেস্টুরেন্ট স্ত্রীকে নিয়ে খেতে গিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া বেধে যায়। সেই ঝগড়া বাড়ি পর্যন্ত চলে আসে। বাড়িতে বসে দুজনে কথা বলেছিলেন। এর মধ্যেই স্ত্রী দিয়ে বন্দুক তাক করার মতো ইঙ্গিত করেন ফার্গুসন। তা দেখেই খেপে যান স্ত্রী সিরিল। রেগে তিনি বলে ওঠেন, বন্দুকের ইঙ্গিত করা কেন, আসল বন্দুকেই বের করো না! সেই কথা শুনেই অ্যাঙ্কল হলস্টার থেকে রিভালবার বের করে স্ত্রীকে গুলি করে দেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান সিরিল।


স্ত্রী ঢলে পড়তেই আপাতকালীন নম্বর ৯১১-এ ফোন করেন ফার্গুলন। ফোনে তিনি বলেন, একজন ডাক্তার পাঠান। স্ত্রীকে গুলি লেগেছে। ফোনের ওই প্রান্ত থেকে জানাতে চাওয়া হল তাঁর কাছে কোনও রয়েছে কিনা? ফার্গুসন বলেন, এখন এনিয়ে কিছু বলতে চাই না। আপানারা আসুন। এরপরই সহকর্মীকে মেসেজ করে বলেন, সরি! কাল আদালতে যেতে পারব না। কারণ এবার আমাকে পুলিস হেফাজতে থাকতে হবে।


ফোন পাওয়ার পর পুলিস ছুটে আসে ফার্গুসনের বাড়িতে। বাড়িতে তল্লাশি করে পাওয়া যায় ৪৭টি বন্দুক, ২৬ হাজার রাউন্ড গুলি। আদালতে ফার্গুসন বলেন, আমি খুন করিনি। যা হয়েছে তা স্রেফ দুর্ঘটনা। এটাকে কোনও অপরাধ বলা যায় না। আপাতত জামিন পেয়েছেন ফার্গুসন। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৩০ অক্টোবর।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)