ওয়েব ডেস্ক: কয়েনে 'নিউ কয়েনেজ'। দেশের ১৫০তম 'জন্মদিন' উপলক্ষে কানাডা তৈরি করতে চলেছে এমন এক মুদ্রা যা রাতের অন্ধকারেও জ্বল জ্বল করবে। ২ ডলার মূল্যের এই কয়েনের এক পিঠে থাকবে কানাডার রাণীর ঐতিহ্যবাহী ছবি, অন্যদিকে থাকবে একটি 'প্রাকৃতিক দৃশ্য', সেখানে থাকবে উত্তরের একটি বন, যেখানে একটি শান্ত লেক-এ একটি নৌকা ভাসছে এবং তার ওপর পড়েছে উত্তুরে প্রভা। কানাডিয়ানরা এই কয়েনের নামকরণ করেছে, 'গ্লো ইন দ্য ডার্ক'। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দ্য রয়্যাল কানাডিয়ান মিন্ট দেশের ১৫০তম 'জন্মদিনে' প্রায় ৩০ লাখ 'গ্লো ইন দ্য ডার্ক' কয়েন রিলিজ করবে। যাঁর ভাবনার গর্ভগৃহ থেকে এই কয়েনটির অলংকরণ হয়েছে তিনি টিমোথি হিয়া। পেশায় ডাক্তার টিমোথি জানিয়েছেন, "এই কয়েনটির রূপ দেওয়ার সময় একটি মৌলিক থিমের কথাই ভেবেছি, যা মূলত 'আমাদের বিস্ময়' (Our Wonders)।" তিনি আরও বলেন, "আমি মূলত এমন একটি বিষয়ের ওপর কাজ করতে চেয়েছি যা 'প্রকৃত সুন্দর'। আমার কাছে কানাডার উত্তুরে প্রভার মত প্রকৃত সুন্দর আর কিছুই নেই"। 


দ্য রয়্যাল কানাডিয়ান মিন্টের পক্ষ থেকে মিস্টার রিভস জানিয়েছেন, 'গ্লো ইন দ্য ডার্ক' কয়েনটি টিমোথি হিয়ার মস্তিষ্ক প্রসূত হলেও আমরাই এই মুদ্রা তৈরিতে সম্মতি দিয়েছি, আমরাই এটা বানাবো। উল্লেখ্য কানাডা ছাড়াও বিশ্বের আরও ৭৫টি দেশের জন্য মুদ্রা তৈরি করে এই 'দ্য রয়্যাল কানাডিয়ান মিন্ট'। 


ভারতেও নানান সময়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া নানান ধরণের মুদ্রার আবিষ্কার জনসমক্ষে এনেছে। ১০, ৫০, ১০০, ১০০০ টাকার কয়েন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তৈরি করেছে নানান উপলক্ষে। বলা বাহুল্য, ব্রিটিশ রাজ চলাকালীন ভারতীয় মুদ্রা তৈরি হত রুপো দিয়ে, সেই কারণে ভারতীয় মুদ্রাকে 'সিলভার কয়েন'ও বলা হয়। জেনে রাখা ভালো, সেই প্রতিটি সিলভার কয়েনের ওজন ছিল ১১.৫৪ গ্রাম। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর ১৯৫০ সালে ভারত প্রথম নিজেদের মুদ্রা তৈরি করে। সেই সময় ভারতীয় মুদ্রা থেকে সমস্ত 'ব্রিটিশ ছাপ'ই তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তদানীন্তন ভারত সরকার, কেবল রাখা হয়েছিল ইংরাজি অক্ষর আর রোমান হরফ।