নিজস্ব প্রতিবেদন- কোনওদিন ব্যাঙ, কোনওদিন ধেড়ে ইঁদুর। কিছু না কিছু ধরে আনে তাঁদের পোষা বিড়াল। মিস্টার কে রজার্স মজা করে বলছিলেন, ''এই হল আমাদের বিড়ালের এক স্বভাব! রোজই মালিকের জন্য কোনো না কোনো উপহার ঠিক নিয়ে আসবে। এই দেখুন না, এদিন যেমন নিয়ে এল একটা দুমুখো সাপ। কোথা থেকে সেই সাপটিকে ধরে এনে দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ল বাড়ির ভেতর। তারপর কার্পেটে সেই সাপটিকে ছেড়ে দিল কার্পেটের উপর। ওটার সঙ্গে খেলতে শুরু করে দিল। আমরা তো প্রথমে দেখতেই পাইনি। আমাদের মেয়ে ছুটে এসে জানায়, পোষা বিড়ালটি যে সাপটিকে ধরে নিয়েছে সেটির দুটি মাথা। কী অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী বিড়াল! তাই না?'' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মিস্টার রজার্সের ১৩ বছর বয়সী মেয়ে যখন তাঁকে প্রথম এসে দু মুখো সাপের কথা জানায়, তখন তিনি প্রথমে বিশ্বাস করেননি। আসলে একই শরীরে দুটো মাথা রয়েছে, এমন সাপের কথা আমরা বেশিরভাগ সময়ই অন্যের মুখে শুনেছি। নিজেরা দেখেছি কজন আর! এরপর মিস্টার রজার্স সেই সাপটিকে দেখে অবাক হয়ে যান। সাপটি আকারে ছোট। তাই তিনি অতি সাবধানে সেটিকে ধরে একটি প্লাস্টিকের কন্টেইনারে রেখে দেন। তিনি জানান, তাঁর ছেলে ও মেয়ে দুজনই এমন একটি সাপ দেখে রোমাঞ্চিত হয়ে উঠেছিল। এমনকী তিনি ও তাঁর স্ত্রীও এমন সাপ দেখলেন জীবনে প্রথমবার। 


আরও পড়ুন-  ২০ কোটি মাইল দূরের গ্রহাণুতে পৌঁছল মহাকাশযান


ফ্লোরিডার ঘটনা। তবে বিশ্বের বহু জায়গাতেই এমন দুটি মাথার সাপ দেখতে পাওয়া যায়। বিরল বটে! তবে এই দুনিয়ায় একটি শরীর ও দুটি মাথার সাপ রয়েছে অসংখ্য। ফ্লোরিডা ফিশ এন্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন-এর তরফ জানানো হয়েছে, দুটি যমজ সাপ জন্মের সময় কোনো জটিলতার জন্য আর আলাদা হতে পারেনি। ফলে একই শরীরে তাদের দুটি মাথা তৈরি হয়ে যায়। জানানো হয়েছে, এমন সাপ জঙ্গলে বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারে না। কারণ শরীর একটি হলেও তাদের মাথা দুটি। দুটি মাথা দুরকমভাবে কাজ করে। ফলে একটি মাথা যখন খাবারের খোঁজে যেতে চায়, তখন অন্যটি বাধা দেয়। সেটি বিপরীত দিকে কোনও আকর্ষণীয় জিনিস দেখে এগিয়ে যেতে চায় হয়তো। ফলে এই ধরনের সাপ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাবারের অভাবে মারা পড়ে।