নিজস্ব প্রতিবেদন : চাঞ্চল্যকর ঘটনা বাংলাদেশে। এক শিশুকে ধর্ষণ করার পর কোরানে হাত রেখে তাকে দিয়ে শপথ করিয়ে নিতেন মাদ্রাসার এক শিক্ষক। শুক্রবার বাংলাদেশের নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। মওলানা আবুল খায়ের বেলালি নামের সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাদিক শিশুকে ধর্ষণে অভিযোগ রয়েছে। এক বছরে তিন ছয়জন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন সেই শিক্ষক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  পাশাপাশি দাঁড়িয়ে একই নম্বরপ্লেটের দুটি সাদা গাড়ি, তদন্তে নামল পুলিস-গোয়েন্দা!


নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মহম্মদ শাহজাহান মিয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্ত একজন মৌলানা, একজন ইমামও। তিনি যে মাদ্রাসার শিক্ষক সেখানে ৩৫ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রী পড়াশোনা করে। তাদের মধ্যে ১৫ জন শিক্ষার্থী আবাসিক। তিনিও সেই মাদ্রাসাতেই থাকেন। সময় ও সুযোগ বুঝে সেই শিক্ষক রোজ একজন করে ছাত্রীকে ডেকে নিতেন। তার পরই সেই ছাত্রীদের সঙ্গে দুষ্কর্ম করতেন। তার পর সেই ছাত্রীদের হাত কোরানের উপর রেখে শপথ করিয়ে নিতেন। বাচ্চাদের এই বলে ভয় দেখাতেন যে তাঁর কুকর্মের কথা বাইরে বললে তাকে আল্লার কোপে পড়তে হবে! 


আরও পড়ুন-  ২৫ বছরে অনেক বদলে গিয়েছে দাউদ ইব্রাহিম, পাকিস্তান থেকে সামনে এল টাটকা ছবি


এতদিন পর্যন্ত ভয়ে কোনও ছাত্রীই মুখ খোলেনি। কিন্তু শেষমেশ একটি বাচ্চা মেয়ে সেই শিক্ষকের কুকর্মের কথা বাড়িতে জানিয়ে দেয়। নিজের বোনসহ বাড়ির প্রত্যেককে সেই ছাত্রী তার উপর হওয়া অত্যাচারের কথা বলে। এর পরই স্থানীয়দের সহায়তায় সেই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিসি হেফাজতে থাকাকালীন সেই শিক্ষকের নামে একের পর এক অভিযোগ জমা হতে থাকে। সেই শিক্ষকের অত্যাচারের শিকার হয়েছে ৮ থেকে ১১ বছর বয়সী ছয়জন ছা