চিনা সেনার `উপদেশ` : ডোকা লা থেকে শিক্ষা নিক ভারত
ওয়েব ডেস্ক: ডোকা লা পর্ব থেকে ভারতকে শিক্ষা নেওয়ার 'উপদেশ' দিল চিনা সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তা উ কুইয়ান। সিকিম সীমাম্তে অবস্থিত ডোকা লা এলাকা থেকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত ও চিন উভয় পক্ষই। আর তারপরই চিনা সেনাবাহিনীর কলোনেল কুইয়ান বললেন, "আমরা ভারতকে এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতি বজায় রাখতে চিনা সেনার সঙ্গে, স্বাক্ষরিত চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে একযোগে কাজ করা উচিত ভারতের"।
শুধু ভারতকে 'উপদেশ' দিয়েই থামেননি কুইয়ান, একইসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন চিনের অনড় অবস্থানের কথাও, "স্ট্যান্ড অফ পরবর্তী অবস্থাতেও নিজেদের সীমান্ত এবং সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে সদা তত্পর থাকবে চিনা বাহিনী"।
প্রসঙ্গত, ডোকা লা এলাকায় গত ৭৫ দিন ধরে কার্যত যুদ্ধের আবহে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থেকেছে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। ডোকা লা এলাকাকে নিজের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে সেখানে রাস্তা তৈরিতে সচেষ্ট হয় কমিউনিস্ট চিন। কিন্তু ভুটান দাবি করে যে ওই এলাকা তাদের অংশ। ভুটানের দাবিকে মান্যতা দিয়ে একই সুরে কথা বলে ভারত এবং ভারতের পক্ষে বলা হয় এমন স্পর্শকাতর এলাকায় রাস্তা তৈরি করা হলে তা আঞ্চিক স্থিতিকে নষ্ট করতে পারে। এই আবহে দুই দেশের সেনা বাহিনী মুখোমুখি অবস্থান করতে থাকে, পারস্পরিক কড়া বার্তা বিনিময়ে তৈরি হয় যুদ্ধের আবহ। কিন্তু অবশেষে, কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সেই সমস্যার আপাত সমাধান সম্ভব হয়েছে। ভারতীয় বাহিনী ডোকা লা ছেড়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে চিন এখনও তাদের অবস্থানে খানিকটা ধোঁয়াশা বজায় রেখেছে। ইতিমধ্যেই ডোকা লা সমস্যার সমাধানকে মোদীর বড় কৃতিত্ব হিসাবে দেখাতে তত্পর হয়েছে বিজেপি তথা এনডিএ সরকার। অন্যদিকে, অভিষেক মনু সিংভির মতো শীর্ষ কংগ্রেস নেতার দাবি, এবিষয়ে ঠিক কী সিদ্ধান্ত গৃহীত হল তা আরও খোলসা করে জানানো দরকার বিদেশমন্ত্রকের। সিংভি জানতে চেয়েছেন, চিন যে আবার পরে ওই এলাকায় রাস্তা তৈরি করবে না তার কি নিশ্চয়তা রয়েছে?