নিজস্ব প্রতিবেদন: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করডিরে ‘সামরিক কারখানা’ তৈরি করছে জিনপিং সরকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন রিপোর্ট সরাসরি খারিজ করল বেজিং। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিং দাবি করেন, “যে তথ্য প্রকাশ হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। সিপেক এমন একটি প্রকল্প, যেখানে সুদূরপ্রসারী ফলের আশায় তৈরি করা হচ্ছে।” সিপেক-র অষ্টম জয়েন্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকে এ কথা বলেন হুয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাসের মরণ ঝাঁপ ৪০০ মিটার গভীর খাদে, নিহত ২৩


উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান বায়ুসেনা এবং চিনা কর্তাদের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হচ্ছে সামরিক ঘাঁটি। ওই প্রতিবেদনে আরও দাবি, চিন বরাবরই জানিয়েছে সিপেক শুধুমাত্র বাণিজ্যের কারণে ব্যবহার করা হবে। কিন্তু এই করিডর সামরিক খাতে ব্যবহার করা চেষ্টা চলছে।


প্রায় ৬ হাজার কোটি ডলারের সিপেক প্রকল্প তৈরি হচ্ছে বালুচিস্তানের গদ্বর বন্দর থেকে জিনহুয়া পর্যন্ত। পাকিস্তান এবং চিনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া এই প্রকল্পকে বরাবর আপত্তি জানিয়েছে ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে এই রুট যাওয়ায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিরোধিতা করেছে নয়া দিল্লি। সূত্রে খবর, নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই রিপোর্ট যথেষ্ট চিন্তায় রাখছে সাউথ ব্লককে।


আরও পড়ুন- আমেরিকার রাজকোষে তালা, আর্থিক সঙ্কটের জেরে থমকে সরকারি দফতরের কাজ


গত বছর জুনে ডোকালাম ইস্যু নিয়ে তলানিতে ঠেকে চিন-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক। এর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তত্পরতায় চিনের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে বরফ গলে সেই সম্পর্কের। এমনকি, চিন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক যুদ্ধের শুরু হওয়ার পর বেজিংয়ের কাছে বাণিজ্য পরিসরে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে ভারত। এমতাবস্থায়, এই রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায় নয়া দিল্লি কীভাবে দেয়, সে দিকে তাকিয়ে কূটনৈতিক মহল।