জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চিন সোমবার সরাসরি আক্রমণ করেছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঋষি সুনককে। বেইজিংকে "ব্রিটেনের জন্য সবচেয়ে বড়-দীর্ঘমেয়াদী হুমকি" বলে অভিহিত করেন ঋষি। এর বিরোধিতা করে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঋষি সুনককে আক্রমণ করেছে তারা এবং জানিয়েছে যে তাঁর এই মন্তব্য "দায়িত্বজ্ঞানহীন"। সুনকের বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন যে "চিনের হুমকি"-র কথা প্রচার করা এবং চিন সম্পর্কে মন্তব্য কারোর নিজের সমস্যার সমাধান করতে পারে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঝাও লিজিয়ান বলেন, "আমি কিছু ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের কাছে এটা স্পষ্ট করতে চাই যে চিন সম্পর্কে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা, "চিনের হুমকি" প্রচার করা, নিজের সমস্যার সমাধান করতে পারে না।“


এর আগে সোমবার, যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক বলেন যে বহুদিন ধরে, ব্রিটেন এবং পশ্চিমের রাজনীতিবিদরা "চিনের ঘৃণ্য কার্যকলাপের থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে রেখেছেন"।


তিনি আরও বলেন, "দীর্ঘ সময় ধরে, ব্রিটেন এবং পশ্চিম জুড়ে রাজনীতিবিদরা লাল কার্পেট বিছিয়ে রেখেছেন এবং চিনের ঘৃণ্য কার্যকলাপ এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার দিক থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে রেখেছেন। আমি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথম দিনেই এর পরিবর্তন করব।"


ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী আরও জানিয়েছেন যে তিনি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলিকে নিষিদ্ধ করবেন, যেগুলিকে চিনের সরকার অর্থ সাহায্য করে। ব্রিটেনে, এবং ব্রিটিশ ব্যবসাগুলিকে চিনা গুপ্তচরবৃত্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য গুপ্তচর সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হবে।


সুনক আরও বলেন যে কৌশলগতভাবে সংবেদনশীল প্রযুক্তি সংস্থাগুলি সহ ব্রিটিশ সম্পদ যাতে চিন অধিগ্রহণ করতে না পারে সেই বিষয় ভাবনা চিন্তা করবেন।


প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকা অন্যতম নাম ঋষি সুনক। চিনের বিরুদ্ধে সুর চরিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছিল, ঋষি নাকি চিনের প্রতি নরম মনোভাবাপন্ন। যখন এইরকম শোনা যাচ্ছিল, ঠিক তখনই চিনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন ঋষি সুনক। তিনি বললেন, ব্রিটেন এবং বিশ্বের কাছে অন্যতম ভীতিপ্রদ রাষ্ট্র হল চিন।


আরও পড়ুন: Robot Breaks Finger: দাবা খেলতে খেলতে সাত বছরের শিশুর আঙুল ভেঙে দিল রোবট!


সুনকের সাড়া-ফেলে দেওয়া দাবি, চিন তাঁদের প্রযুক্তি চুরি করছে, তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অনুপ্রবেশ করেছে। রাশিয়ার তেল কিনে ভ্লাদিমির পুতিনকে সমর্থন করছে। প্রতিবেশীদের হয়রানির চেষ্টা করছে। সুনক বলেন, চিন মানবাধিকারের রীতিনীতি লঙ্ঘন করে স্বদেশের জনসাধারণকে নির্যাতন ও আটক করছে এবং জোর করে নিজেদের মতাদর্শ তাঁদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।


বরিস জনসনের ফেলে আসা চেয়ার দখলের লড়াইয়ে এখনও টিকে রয়েছেন সুনক এবং ব্রিটেনের বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)