বিশ্বে কি শত্রু বাড়াচ্ছে চিন!
এক অংশ মনে করে, দু`দেশের মধ্যে খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। অন্য পক্ষ মনে করে, সেটা বেশ কঠিন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অস্ট্রেলিয়া ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। কেউ জানে না এই ঘটনা কোন দিকে যাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে এই সম্পর্কের কতটা অবনতি হয়েছে সেদিকে তাকালে পরিস্থিতি কিছুটা আঁচ করা সম্ভব।
চিনা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, অস্ট্রেলীয় নাগরিক এবং চিনে ইংরেজি ভাষার একটি টিভি চ্যানেলের প্রখ্যাত সাংবাদিককে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সন্দেহে আটক করা হয়েছে। এর অল্প কিছুদিন পর, সর্বশেষ যে দু'জন সাংবাদিক চিনে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যমের সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন কূটনীতিকদের পরামর্শে তারাও তড়িঘড়ি অস্ট্রেলিয়ায় ফেরেন। অনেকেই বলছেন, এসব ঘটনার বড় প্রভাব পড়েছে দু'দেশের সম্পর্কে।
অতি সম্প্রতি বেইজিং অস্ট্রেলিয়ার দু'জন শিক্ষকের চিনে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর আগে অস্ট্রেলিয়া দুজন চিনা শিক্ষকের ভিসা প্রত্যাহার করে নেয়। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সরকারি ভাবে তাদের ফাইভ জি নেটওয়ার্কে চিনা প্রযুক্তি কোম্পানির অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে। অস্ট্রেলিয়াই প্রথম দেশ যারা এমন সিদ্ধান্ত নেয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চিন হয়তো অস্ট্রেলিয়ার প্রতি ক্ষুব্ধ হতে পারে, আবার এও ঠিক যে চিনের ক্রমবর্ধমান বৃহৎ অর্থনীতির চোখ পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর। এ বছরের এপ্রিলে অস্ট্রেলিয়ায় চিনা রাষ্ট্রদূত হুমকি দিয়েছিলেন, চিনের লোকজন অস্ট্রেলিয়ার পণ্য বয়কট করতে পারে। মনে করা হচ্ছে, ভয় দেখানোর কারণে অস্ট্রেলিয়ার মনোভাব আরো কঠিন হয়েছে।
তবে এখন আন্তর্জাতিক মহলে দু'রকম মনোভাব। এক অংশ মনে করে, দু'দেশের মধ্যে খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। অন্য পক্ষ মনে করে, সেটা বেশ কঠিন।
আরও পড়ুন: 'হার্ড ইমিউনিটি'র ধারণা ভুল, জানাল 'হু'