নিজস্ব প্রতিবেদন— শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে। অথচ কোনও উপসর্গ নেই। কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা, জ্বর কিছুই নেই। তবুও করোনা টেস্টে পজিটিভ হচ্ছেন কেউ কেউ। আর এতদিন পর্যন্ত এই ধরণের উপসর্গহীন করোনা রোগীদের কথা স্বীকার করেনি চিন। কিন্তু এবার চিনের প্রশাসন এমন রোগীদের অস্তিত্বের কথা স্বীকার করে নিল। উপসর্গহীন করোনায় চিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩০ জন। ফলে নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে চিনের প্রশাসনের। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, এই ১৩০ জনের শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ নেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্তদের কথা গোপন করেছিল চিন। বারবার তারা মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা প্রকাশ করছিল। কিন্তু কিছুতেই উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যা জানায়নি। এতদিনে চিনের স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, তাদের দেশে মোট উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্ত রয়েছেন ১ হাজার ৩৬৭ জন। তাদের সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েচে কমিশন। যদিও চিনের প্রকাশ করা এই সংখ্যাটা নিয়েও সংশয় রয়েছে। কারণ আগেরদিনই তারা জানিয়েছিল, উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যা ১ হাজার ৫৪১ জন। এর মধ্যে ২০৫ জন অন্য দেশ থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিনে ফিরেছিলেন। তবে চিন এখন জানিয়েছে, ৩০২ জন সুস্থ হয়েছে। তাই তাদের তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়েছে।


আরও পড়ুন—  অন্তত এক বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি পাবে না ভারতীয়রা! প্রস্তাব গেল ট্রাম্পের টেবিলে


চিনের স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, এবার থেকে উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা তারা নিয়মিত প্রকাশ করবে। তবে চিনের প্রকাশিত সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। আমেরিকা এর আগে অভিযোগ করেছিল, লোকজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও বহুদিন সেই কথা গোপন করে রেখেছিল চিন। যার জেরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস। চিনের সরকারি হিসাব বলছে, এখনও পর্যন্ত সেখানে ৮১ হাজার ৫৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ডিসেম্বর থেকে সেখানে লোকজন করোনায় আক্রান্ত হতে শুরু করেন। কিন্তু চিন ব্যাপারটি প্রথম প্রকাশ করে জানুয়ারিতে। আর এই এক মাসে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে।