ওয়েব ডেস্ক: রাস্তার বদলা রাস্তা। এই রাস্তার কূটনীতিতেই সম্ভবত  'ভরসা রাখছে' ভারত-চিন। সম্প্রতি ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক লাদাখের প্যাংগং এলাকায় চিন সীমান্তের নিকটাবর্তী অঞ্চলে ২০ কিমি রাস্তা নির্মাণের ছাড়পত্র দিয়েছিল। এবার 'পাল্টা পদক্ষেপে' তিব্বতের প্রাদেশিক রাজধানী লাসা থেকে নিংচি পর্যন্ত ৪০৯ কিমি রাস্তার উদ্বোধন করল চিন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অরুণাচল প্রদেশ থেকে স্বল্প দূরত্বে তৈরি হওয়া এই রাস্তা নির্মাণে খরচ হয়েছে ৫৮০ কোটি মার্কিন ডলার বা ৩৮০০ কোটি ইয়ান। চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম 'জিনহুয়া' সূত্রে খবর, এই নতুন রাস্তা লাসা থেকে নিংচি পৌঁছনোর সময় ৮ থেকে ৫ ঘণ্টায় কমিয়ে আনবে (ঘণ্টায় ৮০ কিমি বেগে গাড়ি চালালে)।  স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, তিব্বতের অধিকাংশ রাস্তার মতো এই নতুন রাস্তাটিও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বহনের জন্য উপযুক্ত। ফলে লাসা-নিংচু রাস্তা বাড়তি সুবিধা দেবে কমিউনিস্ট দেশটির সেনাবাহিনীকে। আর এখানেই প্রমাদ গুনছে ভারত।


প্রসঙ্গত, অরুণাচল প্রদেশকে দীর্ঘকাল ধরে দক্ষিণ তিব্বত হিসাবে দাবি করে আসছে চিন। সংশ্লিষ্ট এলাকাকে নিজেদের ভূখণ্ড বলেও দাবি করে বেজিং এবং ওই এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ৩৪৮৮ কিমি বিতর্কিত ভারত-চিন সীমান্ত বর্তমান। ফলে, লাসা থেকে নিংচা পর্যন্ত ৪০৯ কিমি দীর্ঘ রাস্তা নির্মাণের ফলে বেজিং যে কার্যত অরুণাচলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে সে বিষয়ে সহমত কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশ। তাঁদের মতে, বেজিং-এর 'আগ্রাসনে'র মোকাবিলা করতে এবার অরুণাচল সীমান্তে শক্তি ও পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর দিতেই হবে নয়া দিল্লিকে। অনেকেই বলছেন, সম্ভবত পথই পথ দেখাবে বর্তমান এই চাপানউতরকে। আরও পড়ুন- লাদাখে ভারতের রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিজের গালে চড় মারার সামিল : চিন