Chinese Rocket Fall: মহাসাগরে বিশৃঙ্খলা! একটুর জন্য বেঁচে গেল ভারত...
চিন এটুকু জানাতে পেরেছিল, রকেটটির অধিকাংশই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এর অল্প অংশই পৃথিবীতে ফিরছে। নাসা অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, সরকারি ভাবে চিন মহাকাশে এই রকেটটির অবস্থান বা এর গতিবিধি নিয়ে তেমন পরিষ্কার কোনও তথ্য জানাতে পারেনি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ক'দিন ধরেই অনুমান আশঙ্কা চলছিল। পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ। কিন্তু কোথায় আছড়ে পড়বে সেটা? এ নিয়ে নানা জল্পনা চলছিলই। শেষমেশ সেটি ভেঙে পড়ল ভারত মহাসাগরের বুকে। কোনও জনবহুল স্থানে যে রকেটটা পড়ল না, তাতেই সকলে একে অপরকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন। মনে করছেন, একটা বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেলেন তাঁরা! ভারত মহাসাগরে পড়ার ফলে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। ঘটেনি ভূসম্পত্তি নষ্টের ঘটনাও।
জানা গিয়েছিল, চিন লং মার্চ ৫বি রকেটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছিল। এই রকেটেরই ধ্বংসাবশেষের অবশিষ্টাংশ ফিরে আসছিল পৃথিবীর দিকে। অবশেষে এটি ভারতের দক্ষিণে অবস্থিত ভারত মহাসাগরে পড়ল। পড়ল মালয়েশিয়ার আইল্যান্ড অফ বোর্নিয়োয়।
চিন এটুকু জানাতে পেরেছিল, রকেটটির অধিকাংশই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এর অল্প অংশই পৃথিবীতে ফিরছে। নাসা অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, সরকারি ভাবে চিন মহাকাশে এই রকেটটির অবস্থান বা এর গতিবিধি নিয়ে তেমন পরিষ্কার কোনও তথ্য জানাতে পারেনি।
রকেটটির ফিরে আসা নিয়ে বাকি বিশ্ব খুবই উদ্বিগ্ন ছিল। চিন অবশ্য বাকি-বিশ্বের এই উদ্বেগকে তত আমল দেয়নি। তারা বরং অন্য দেশের এই উদ্বেগকে ব্যঙ্গ করে বলেছ বিষয়টি আসলে 'আঙুরফল টক'-এর মতো। চিনের এ কথা বলার অন্তর্নিহিত ভাবটি হল- অন্যেরা তো মহাকাশবিজ্ঞানে এত উন্নতি করতে পারেনি, চিনের অগ্রগতি তাদের নাগালের বাইরে। যেটা নাগালের বাইরে সেটাকেই সমালোচনা করছে অন্য দেশগুলি। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছিলেন, মহাকাশযানের গতিবিধির দিকে নজর রাখছে বেজিং। জানা গিয়েছিল, দ্রুত নেমে আসা এই রকেটটির ২০%-৪০% অংশই ভূপৃষ্ঠে পৌঁছতে পারবে। কেননা, এর বড় অংশই মহাশূন্যে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মে মাসে একটি লং মার্চ রকেটের অংশ ভারত মহাসাগরেই পড়েছিল। নাসা-র প্রশাসক বিল নেলসন বলেছেন, এটা পরিষ্কার যে, মহাকাশের ধ্বংসাবশেষ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে চিন একরকম ব্যর্থই।
আরও পড়ুন: Debris from China Space: চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ ধেয়ে আসছে পৃথিবীতে, আছড়ে পড়বে ভারতেও!