নিজস্ব প্রতিবেদন- আমেরিকা সবার প্রথমে অভিযোগ করেছিল। এর পর পশ্চিমের অনেক দেশ চিনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছিল। মূলত দুটি গুরুতর অভিযোগ ছিল চিনের বিরুদ্ধে। এক, উহানের পশু—পাখি বিক্রির বাজার থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায়নি। ছড়িয়েছে উহানের কোনও গোপন ল্যাব থেকে। অর্থাত্, এই প্রাণঘাতী ভাইরাস কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্টি। চিন জৈব অস্ত্র হিসাবে এই ভাইরাস ব্যবহার করতে চেয়েছিল কোনও এক সময়। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালীন দুর্ঘটনার জেরে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। চিন এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। এর পর আমেরিকার অভিযোগ ছিল, চিন করোনা নিয়ে অনেক তথ্য গোপন করছে। ডিসেম্বর করোনা ছড়াতে শুরু করে। সেই সময় চিন বিশ্বকে এই ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিলে পরিস্থিতি এখন এতটা ভয়ানক হয়তো হতো না। সেইসঙ্গে, চিন করোনায় মৃতদের সঠিক তথ্য দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ ছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এবার চাপে পড়ে চিন জানিয়ে দিল, করোনার সব মৃত্যু নথিভুক্ত হয়নি। ভাইরাস ছড়াতে শুরু করার পর স্বাস্থ্যকর্মীরা উদভ্রান্তের মতো শুধু চিকিতসা করে গিয়েছেন। সেই সময় উহানে নিজের বাড়িতে অনেক মানুষ মারা গিয়েছেন। চিকিতসা নিয়ে প্রশাসন ব্যস্ত থাকায় সেইসব মানুষদের মৃত্যু নথিভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। অর্থাত্, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের যে সংখ্যা চিন প্রকাশ করেছিল সেটি সত্যি নয়। করোনায় মারা গিয়েছেন আরও বেশি সংখ্যক মানুষ। সেটা এবার মেনে নিল চিন। এবার মৃতের তালিকায় আরও ১২৯০ জনের নাম নথিভুক্ত করা হল। অর্থাত্, এক ধাক্কায় করোনা আক্রান্ত হয়ে উহানে মৃতদের সংখ্যা বেড়ে গেল ৫০ শতাংশ।


আরও পড়ুন— মাত্র একবারের জন্য মুদির দোকানে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত যুবক! বলছেন, লকডাউন মানুন


এই তালিকায় ১২৯০ জনের নাম নতুন করে নথিভুক্ত হওয়ায় গোটা চিনে করোনায় আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে গেল ৩৯ শতাংশ। তবে কেউ কেউ বলছেন, এই সংখ্যাটাও সঠিক নয়। চিনে আরও অনেক বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে। প্রশাসন তথ্য গোপন করছে বলে অভিযোগ করেছে চিনের একাধিক সংবাদমাধ্যম। নতুন হিসাব অনুযায়ী করোনার কেন্দ্রস্থল উহানেই মারা গিয়েছেন ৩৮৬৯ জন।