China: যেন পৃথিবী থেকে লহমায় হারিয়ে যাবে সমস্ত স্বর্ণখনি! কেন পাগলের মতো সোনা কিনছে গোটা দেশ?
China: যেন `দেয়ার ইজ নো টুমরো`! যেন কালই নিভে যাবে পৃথিবীর সব আলো। না হলে, কেন মানুষ এরকম হন্য়ে হয়ে হুড়মুড়িয়ে পাগলের মতো সোনা কিনছে?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোনার প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে চিনে। ফলে, বিশ্ববাজারে তরতরিয়ে বাড়ছে সোনার দাম। বিশ্ব জুড়ে যে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা চলছে, এবং চিনেও যে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা চলছে, তার মধ্যে সকলের মনে হচ্ছে, এই মুহূর্তে সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ হচ্ছে সোনাই। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও গত বছরের শেষ দিকে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়েছে। তবে, এই মুহূর্তের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, এবার মূলত চিনের মানুষের সোনা কেনার হিড়িক পড়ে যাওয়ার জন্যেই বিশ্ববাজারে সোনার দাম এত বেড়ছে।
ঋণের ভারে জর্জরিত চিন। এই অবস্থায় চিনের মানুষ সোনা কেনার দিকে ঝুঁকেছেন। চিনের এই সোনা কেনার হিড়িকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনার রিজার্ভ বৃদ্ধির বিষয়টিও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন বন্ড কেনা কমিয়ে দিয়েছে চিন। এমনকি আগের কেনা বন্ডও ছেড়ে দিচ্ছে।
এমনিতেই বিশ্বসোনাবাজারে চিনের বড় রকম প্রভাব বরাবরই আছে। এবার সেই প্রভাব আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। চিনের বাজারে সোনা কেনার গতি বরাবরই ছিল; কিন্তু এখন যেন প্রবল জলধারার মতো চিনের বাজারে সোনা ঢুকছে। চায়না গোল্ড অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথম ভাগে চিনের বাজারে সোনা কেনাবেচা বেড়েছে ৬ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের শেষভাগ থেকে এখন পর্যন্ত সোনার দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: আর দু-তিন ঘণ্টার মধ্যেই ছুটে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি! কোথায় হবে ভয়ানক এই দুর্যোগ?
দেশটির বাজারে সোনার চাহিদা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনার রিজার্ভ বৃদ্ধি। গত মার্চ মাসেও সোনা কেনা হয়েছে। ফলে এ নিয়ে টানা ১৭ মাস সোনার রিজার্ভ বাড়িয়েছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত বছর বিশ্বের যেকোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তুলনায় চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশি সোনা কিনেছে। গত ৫০ বছরে তারা আর কখনোই এত সোনা কেনেনি। তা সত্ত্বেও চিনের রিজার্ভে সোনার হার মাত্র ৪.৬, যেখানে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এই অনুপাত দ্বিগুণ।