নিজস্ব প্রতিবেদন— চায়না ইউথ ডেইলি, বেইজিং ডেইলি ও পিপলস ডেইলিতে কাজ করেছেন তিনি। কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেইলির প্রাক্তন সাংবাদিক ছিলেন তিনি। শেষমেশ তাঁকেই কি না সরকারের রোষের মুখে পড়তে হল। চিনের সাংবাদিক চেন জিরেনকে ১৫ বছর কারাদণ্ড দিল ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, ঝামেলায় উস্কানি, বেআইনিভাবে তোলা আদায়, অবৈধ ব্যবসায়িক কার্যকলাপ এবং ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। হুনান প্রদেশের একটি আদালত সাংবাদিক চেনকে এমন শাস্তি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দ্য চাইনিজ হিউমান রাইটস ডিফেন্ডার্স ওয়াচডগ আবার জানিয়েছে, চিনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইচ্যাট—এ সরকারের সমালোচনা করেছিলেন চেন। তাই ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকারের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। সরকারের কাছে চেনের মুক্তির আর্জি জানিয়েছে এই সংস্থা। হংকংয়ের একটি সংবাদমাধ্যম আবার জানিয়েছে, সরকারের সমালোচনা করে সাংবাদিকের শাস্তি চিনে রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাকস্বাধীনতা যে কোনও নাগরিকের অধিকার। চিনা সরকার ষড়যন্ত্র করে একজন সাংবাদিকের বাকস্বাধীনতাকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ঝামেলায় উস্কানির নাম দিয়েছে। 


আরও পড়ুন— কর্মী ছাঁটাই একটা বিষাক্ত সংস্কৃতি', প্রতিবাদে ইস্তফা দিলেন অ্যামাজনের ভাইস প্রেসিডেন্ট টিম ব্রে


সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমে কাজ করতেন চেন। চিন সরকার বলছে, চেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী ও আরও তিনজনকে নিয়ে একটি ‘ইভিল ফোর্স’তৈরি করেছিলেন। অবৈধভাবে দশ লাখ ডলার উপার্জন করেছেন চেন ও তাঁর সঙ্গীরা। চেন অনলাইনে মিথ্যা ও নেতিবাচক তথ্য পোস্ট করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। চিনের কমিউনিস্ট সরকারের দাবি, চেন সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমে কাজ করায় তাঁর পক্ষে বাজার থেকে চাঁদা তোলা সহজ ছিল। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে চেন।