চলুন ঘুরে আসি বরফের দেশে!
রবীন্দ্রনাথের তাসের দেশ তো আমরা প্রায় সকলেই পড়েছি। কিন্তু বরফের দেশের কথা শুনেছেন কী? মনে পড়ছে না? বেশ। তাহলে আজ আপনাকে নিয়ে যাব এমন এক দেশে, যেখানে সবকিছুই বরফের। সকাল থেকে ছেনি-হাতুড়ির ঠুংঠাং শব্দ। ড্রিল মেশিনের ঘড়ঘড় আওয়াজ। কোদাল-শাবল নিয়ে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। আর সবকিছুই বরফকে ঘিরে।
ওয়েব ডেস্ক : রবীন্দ্রনাথের তাসের দেশ তো আমরা প্রায় সকলেই পড়েছি। কিন্তু বরফের দেশের কথা শুনেছেন কী? মনে পড়ছে না? বেশ। তাহলে আজ আপনাকে নিয়ে যাব এমন এক দেশে, যেখানে সবকিছুই বরফের। সকাল থেকে ছেনি-হাতুড়ির ঠুংঠাং শব্দ। ড্রিল মেশিনের ঘড়ঘড় আওয়াজ। কোদাল-শাবল নিয়ে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। আর সবকিছুই বরফকে ঘিরে।
ভাবছেন হরপ্পা-মহেঞ্জোদারোর পর এবার নতুন কোনও সভ্যতার হদিশ পেলেন ঐতিহাসিকরা? একদমই না। তাহলে চারিদিকে এত বরফ? আসলে এটা চিনের হিলংজিয়াং প্রদেশের হার্বিন শহর। প্রতি বছর এই সময় শহরের তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের কুড়ি ডিগ্রি নিচে। সেই উপলক্ষে এখানে চলে আন্তর্জাতিক বরফ উত্সব। চিনে ছাড়াও ইতালি, কানাডা, রাশিয়া, মালয়শিয়া, জাপান সহ ৩২ দেশের শিল্পীরা বরফ কেটে তৈরি করেন বিভিন্ন মডেল।
আরও পড়ুন- পরমাণু গবেষণায় আমেরিকা ও দঃ কোরিয়ার মধ্যে চুক্তি
মিনি প্রাসাদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মুর্তি। বরফ খোদাই করে হরেক রকম মডেল তৈরি করেন শিল্পীরা। তবে সকলেরই লক্ষ্য সোনার মেডেল। এবছর প্রচুর চমক থাকছে। কী সেটা, এখনই বলব না। আমার মনে হয় এবছর আমরা যে মডেল তৈরি করব, তা সহজে নষ্ট হবে না। তলার দিকটা খুব মজবুত এবং ওপরের দিকটা হাল্কা। এবছর হার্বিন শহরের তাপমাত্রা মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সেটা যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন শিল্পীরা। তাঁদের দাবি, অন্যান্যবার আরও বেশী ঠাণ্ডা থাকে।
৩৩ বছরে পা দিল চিনের হার্বিন আইস অ্যান্ড স্নো ফেস্টিভ্যাল। উত্সবে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিযোগীই প্রোফেশনাল শিল্পী। তাঁদের হাতের জাদুতে যে কোনও মডেলেই যেন অন্য মাত্রা পায়। আর রাতের আকাশে রং বেরংয়ের আলোয় বরফ শিল্পগুলো দেখলে মনে হবে এ যেন রূপকথার কোনও দেশ। তাহলে আর দেরি কেন? পরের শীতে আপনারও গন্তব্য হতে পারে চিনের হার্বিন শহর। তবে হ্যাঁ। সঙ্গে পর্যাপ্ত গরম জামা রাখতে অবশ্য ভুলবেন না।