জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইন্দোনেশিয়ার বিস্ময় আগ্নেয়গিরি ইজেন। আগ্নেয়গিরিটিকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে ট্যুরিজম পার্ক। শনিবার সেখানেই ঘুরতে গিয়েছিলেন এক চিনা দম্পতি। ঘুরতে গিয়ে ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ছবি তোলার জন্য পোজ দিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের ভিতর পড়ে যান এবং মৃত্যু হয় চিনা মহিলার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইজেন আগ্নেয়গিরি মূল আকর্ষণ হল বিখ্যাত 'নীল আগুন'এর আভা। এটি একটি বিরল দৃশ্য, যা সালফিউরিক গ্যাসের কারণে ঘটে। এছাড়া ওই জায়গা থেকে অপূর্ব সূর্যোদয় দেখা যায়। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম হুয়াং লিয়ং। এবং তাঁর স্বামীর নাম ঝাং ইয়ং। তাঁরা ইজেন ট্যুর গ্রুপের সঙ্গে শনিবার সেখানে ঘুরতে যান। সেখানেই ঘটে ভয়ংকর দুর্ঘটনা।


আরও পড়ুন: SSC Exam: এসএসসি-ই থাকবে পরীক্ষার নাম, বদল হচ্ছে মূল্যায়নের ধরন


ছবি তোলার জন্য পোজ দেওয়ার সময় ৩১ বছর বয়সী ওই মহিলার পা তাঁর ড্রেসে পড়ে পিছলে যায়। তখনই তিনি আগ্নেয়গিরিতে পড়ে যান। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে তাঁকে উদ্ধার অভিযান চালানোর পর তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। 


স্থানীয় ট্যুর গাইডরা জানিয়েছেন, ওই দম্পতিকে বার বার তাঁরা সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু ওই মহিলা 'ভালো ছবি' তোলার তাগিদে আগ্নেয়গিরি জ্বালামুখের কাছে পৌঁছে যায়। তারপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৭৫ মিটার উচ্চতা থেকে সেখানে পড়ে যান।


তারা আরও জানায়, চিনা ওই মহিলা প্রথমে আগ্নেয়গিরির প্রান্ত থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন। কিন্তু তারপরে ছবি তোলার সময় পিছনের দিকে হাঁটা শুরু করেছিলেন। তারপরে তিনি ঘটনাক্রমে তাঁর পোশাকে পা রাখেন, ছিটকে পড়েন এবং আগ্নেয়গিরির মুখে পড়ে যান। ঘটনার পর স্থানীয় পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তারা ওই মহিলার মৃত্যুকে দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।


বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০ টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে। লক্ষ লক্ষ ইন্দোনেশিয়ান আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি বাস করে। মূলত তারা চাষের জন্য উপযুক্ত উর্বর মাটির কারণে সেখানে তারা থাকে। ২০১৮ সালে শেষ বার জেগে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়ার এই ইজেন আগ্নেয়গিরি। সেই সময় লাভাস্রোত থেকে স্থানীয়দের রক্ষা করতে বহু মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল প্রশাসন। 


আরও পড়ুন:Bangladesh: মসজিদের দানবাক্সে টাকার পাহাড়! ২৩ বস্তা টাকা গুনে কত দাঁড়াল শুনলে মাথা ঘুরে যাবে...


গত সপ্তাহে, ইন্দোনেশিয়ার একটি দূরবর্তী আগ্নেয়গিরিতে একাধিকবার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। এই আগ্নেয়গিরিটির নাম রুয়াং স্ট্রাটোভোলকানো। সেখানে লাভা, ছাই কলাম এবং বজ্রপাতের মিশ্রণে তুমুল আলোড়ন হয়েছিল। যার ফলে হাজার হাজার লোককে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এমনকি আগ্নেয়গিরির গর্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত স্যাম রাতুলাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেটিকেও বন্ধ করতে হয়।


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)