নিজস্ব প্রতিবেদন- গত বছর নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারী ব্রেন্টন টেরেন্ট একটা সময় ভারতে এসেছিলেন। শুধু এসেছিলেন বললে ভুল বলা হবে। তিনি তিন মাস ভারতেই ছিলেন। কিছুদিন আগেই নিউ জিল্যান্ডের পুলিস এই তথ্য জানিয়েছে। আসলে টেরেন্ট সম্পর্কে একাধিক তথ্য অনুসন্ধানে নেমেছিল পুলিস। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, মূলত অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা টেরেন্ট তিন মাস সময় ভারতে ছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাঁচজন ভারতীয় সহ মোট ৫১ জন সেই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন। ১৫ মার্চ ২০১৯ ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ হামলা করেছিল টেরেন্ট। সেই হামলার ফেসবুক লাইভ করেছিল সে। এমনকী ধরা পড়ার পর সেই ভয়াবহ হামলা নিয়ে তাঁর বিন্দুমাত্র অনুশোচনা ছিল না। সেই সময় নিউ জিল্যান্ডে সিরিজ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। অল্পের জন্য সেই হামলা থেকে রক্ষা পান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। নিউ জিল্যান্ড শান্তিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে একটি। ফলে সেখানে এমন ভয়াবহ ঘটনার পর হইচই পড়ে গিয়েছিল। বহু মানুষ এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা মুসলিমদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলেন টেরেন্ট।


আরও পড়ুন-  ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্বকারীদের ছেড়ে কথা বলা হবে না, সাফ জানাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
 


পুলিস জানিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী টেরেন্ট জিমে প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করতেন। ২০১২ সালে চোট লাগার পর সেই চাকরি তিনি ছেড়ে দেন। তার পর আর তিনি কোনও কাজ করেননি। ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিশ্বের বহু দেশে ঘুরে বেড়িয়েছে টেরেন্ট। ১৮ মাস ধরে খোঁজ-খবর, তদন্ত করে একের পর এক তথ্য বের করেছে পুলিস। তবে পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে টেরেন্ট যুক্ত ছিল না। শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর ক্ষোভ থেকেই সেই ভয়ানক হামলা চালিয়েছিল সে। তার জন্য নিজের উদ্যোগে ট্রেনিং নিয়েছিল টেরেন্ট।