নিজস্ব প্রতিবেদন: পাক প্রধানমন্ত্রীর পদে ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কোনও বৈদেশিক অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। এই অনুষ্ঠান আক্ষরিক অর্থেই জাতীয়। তবে, অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ইমরানের কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু বান্ধব। পাক সংবাদ মাধ্যম 'ডন'কে এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর মুখপাত্র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রাথমিকভাবে শোনা গিয়েছিল, ১১ অগস্ট ইমরানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েছেন আমির খান, সুনীল গাভাস্কর, কপিল দেব, নভজ্যোতসিং সিধু। এরপর সংবাদ মাধ্যমে সিধু জানিয়েও দেন, তিনি এই আমন্ত্রণ পেয়ে সম্মানিত এবং সেদিন ইসলামাবাদে তিনি উপস্থিতও থাকবেন। কিন্তু, এই আমন্ত্রণের খবর পাকা কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। 'ডন'-ই জানাচ্ছে, প্রথমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ কপিল, গাভাস্কর, সিধুর মতো ক্রিকেট তারকাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বিরাট অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু, হঠাত্ ইমরান পরকল্পনা বদলেছেন। তিনি এখন কোনওভাবেই 'বড় অনুষ্ঠান' করতে চাইছেন না। ফলে, শেষ পর্যন্ত ভারতের এইসব কৃতি ব্যক্তিরা পাক প্রধানমন্ত্রীর শপথে আমন্ত্রিত হচ্ছেন কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আরও পড়ুন- হলিউডের কায়দায় চুরি সুইডেনের রাজপরিবারের সোনার মুকুট


প্রসঙ্গত, ২৪ জুলাই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ফলাফলে ইমরান খানের দলকে একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসাবে উঠে আসতে দেখা যায়। এরপরই একটি সাংবাদিক বৈঠকে সিধুকে ইমরানের ভূয়সী প্রশংসা করতে শোনা যায়। সিধু বলেন, "কঠিন সময়ে তিনি বরাবর দারুণ চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখিয়েছেন এবং তাঁর মতো মানুষের উপর সত্যিই ভরসা করা যায়...স্বস্থ্য পরিষেবার করুণ দশা দেখে তিনি বিশ্ব মানের হাসপাতাল গড়েছেন...তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা দেখলেই বোঝা যায়, তিনি শূন্য থেকে শুরু করলেন, চলতি ব্যবস্থার সঙ্গে লাড়াই করলেন এবং চূড়ান্ত ক্ষমতা ছিনিয়ে নিলেন"। সিধু আরও বলেন, রাজনীতিকদের সম্পর্কে 'পুরানো ধারণা' বদলের সময় এসেছে। আরও পড়ুন- জোট ছাড়া সরকার গঠনের কোনও পথ খোলা নেই, ১১৬-তেই থামল ইমরানের পিটিআই