নিজস্ব প্রতিবেদন - লকডাউন পালন করছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ধৈর্য ধরতে পারলেন না।  বেরিয়ে পড়লেন বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতে। তাঁর এমন বোকামি বড় বিপদ ডেকে আনল। একটা ভুলের মাশুল দিতে হল প্রাণ দিয়ে। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা থমাস মেসিয়াম মৃত্যুর আগে একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন। সেখানে নিজের বোকামির কথা স্বীকার করেছেন তিনি। আবার একইসঙ্গে অন্যদের জন্য সতর্কবার্তা লিখে দিয়ে গেলেন। তিনি বারবার করে বললেন, করোনাভাইরাসকে যেন কেউ হালকাভাবে না নেয়। এই ভাইরাস যে কতটা মারাত্মক হতে পারে তা তিনি আক্রান্ত হবার পর বুঝতে পারছেন। একটা সামান্য ভুল বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। ফেসবুক পোস্ট করার একদিন পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ৫১ বছর বয়সী থমাস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পেশায় ট্রাক ড্রাইভার ছিলেন তিনি। গোটা লকডাউন পর্বে তিনি বাড়িতেই ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু মে মাসের শেষের দিকেই বন্ধুদের ডাকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন থমাস। এরপর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে এক জায়গায় বারবিকিউ পার্টিতে মেতে ওঠেন। ওই পার্টির কয়েকদিন পরেই থমাস অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, হাতে-পায় ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপরই করোনা টেস্টে পজিটিভ হন তিনি। গত ২০ জুন ফেসবুকে একটি পোস্ট করে থমাস লেখেন, ''কয়েক সপ্তাহ আগেই আমি বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিতে মেতে ছিলাম। ওই পার্টি থেকে আসার পরে আমার শরীর অসুস্থ হয়। নিজের বোকামির জন্য আমি আমার মা, বোন এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছি। নিজের করা একটা ভুলের জন্য আমারও প্রাণ সংশয় দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একটা ভুলও মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। আপনারা দয়া করে বাড়ি থেকে বেরোবেন না। এই ভাইরাসকে হালকাভাবে নেবেন না। যদি একান্তই বাড়ি থেকে বেরোতে হয় তা হলে মাস্ক পড়ুন। অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। ঈশ্বর আপনাদের নিশ্চয়ই রক্ষা করবেন।'' 


আরও পড়ুন-  পাকিস্তানের ফারুকাবাদে প্রাণ হারালেন ১৯ জন শিখ ধর্মাবলম্বী, তদন্তের নির্দেশ দিল ইমরানের সরকার


থমাসের এই পোস্টকে অনেকেই ওয়ার্নিং বেল বলছেন। যদিও বিশ্বের অনেক দেশেই এখন লকডাউনে শিথিলতা আনা হয়েছে। লোকজন বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন। কাজে যোগ দিয়েছেন অনেকেই। তবে এই সময়টাই সব থেকে মারাত্মক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাইরে বেরোলে সবরকম সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে। অনেকেই অবশ্য কথা শুনছেন না। সরকারি নির্দেশ পালন করছেন না। থমাসের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, ওই পার্টিতে তাঁর এক বন্ধু এসেছিল। সেই বন্ধু করোনা আক্রান্ত ছিল। তাঁর থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। থমাসের পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, গোটা লকডাউনে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়ায় লকডাউন কিছুটা শিথিল হতেই থমাস বেরিয়ে পড়েন বন্ধুদের ডাকে। আসলে দীর্ঘদিন একা থাকতে থাকতে হতাশা গ্রাস করছিল তাঁকে। তাই মানসিক দিক থেকে একটু চাঙ্গা হওয়ার জন্যই ওই পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন থমাস। কিন্তু বিপদ যে সেখানেই ঘাপটি মেরে ছিল তা কে জানত!