নিজস্ব প্রতিবেদনএক দশক ধরে দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে একটু একটু করে জিতছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি। কিন্তু ৪০ বছরে এই প্রথম করোনাভাইরাসের জেরে বেহাল হতে বসেছে  সে সব দেশের অর্থনীতি। এমনই দুর্দশার কথা জানানো হয়েছে  বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান-সহ বিশ্বের অন্য ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলি করোনার পরবর্তী হটস্পট হয়ে উঠতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জারি লকডাউন। বন্ধ প্রায় সব কলকারখানা। আটকে গেছে স্বাভাবিক জনজীবন। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তার জেরেই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে অর্থনীতি। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এক বড় ঝড়ের সম্মুখীন হয়েছে সমগ্র দক্ষিন এশিয়া। বিঘ্নিত হয়েছে গ্রাহক-ব্যাবসায়ী সম্পর্ক। শিকেয় উঠেছে পর্যটন শিল্প। যার জেরে "গভীর মন্দা" দেখা দিচ্ছে অর্থনীতিতে। এমনটাই জানাচ্ছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।


সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে মালদ্বীপকে। কারণ সে দেশের আয়ের ১৩ শতাংশ আসে পর্যটন থেকে। আর গৃহবন্দি গোটা বিশ্ব, পর্যটনের নামমাত্র নেই। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে অন্যতম ভারত, এ দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হ্রাস পেতে পারে প্রায় ৩.৩ শতাংশ। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।


আরও পড়ুন- লকডাউনে জমায়েত সরাতে গিয়ে হাত খোয়ালেন পুলিসকর্মী


বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা, যাদের স্বাস্থ্য সংকট রয়েছে তারা এই মারণ ভাইরাসের শিকার হলে ভারতে জোরালো হবে বৈষম্য। উদাহরণস্বরূপ, বিশ্বের বৃহত্তম লকডাউনে ভারতের পরিযায়ী শ্রমিকরা কয়েকশো কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফিরেছিলেন। সেখানেই স্পষ্ট হয়েছিল বৈষম্য। সরকারের উচিত স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা নিয়ন্ত্রণে, দরিদ্র শ্রেণিকে আগে রক্ষা করা। এমনটাও জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। দরিদ্রদের জন্য সুনিশ্চিত করা উচিত পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী। গরিবদের এই অবস্থায় ছোট ছোট কর্মসংস্থান করা উচিত সরকারের এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অভিনব ব্যাবস্থা এনে অর্থনীতির হাল ফেরাতে হবে সরকার পক্ষকে।


বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে হার্টউইগ শেফার বলেছেন, "ব্যার্থতা থেকেই দীর্ঘমেয়াদী দারিদ্র দূরীকরণের খোঁজ পেতে পারে কোনও দেশ।" প্রসঙ্গত বিশ্ব ব্যাঙ্ক খুব দ্রুত ১৬০ বিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য নিয়ে আসছে দেশগুলির অর্থনৈতিক হাল ফেরানোর  তাগিদে।