ওয়েব ডেস্ক: কথায় বলে না। বিদ্বান আর সুন্দরের জয়গান সর্বত্র। তা বলে জেলে অন্ধকার কুটুরিতে থেকেও এভাবে প্রেমের জোয়ারে ভাসা যায় তা ভাবতে পারেননি মিচেয়েলা ম্যাককোলাম। মিশেলার ভক্তদের কাণ্ড শোনার আগে চলুন শুনে নিই, ওর কাহিনি।


আরও পড়ুন- বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ আনল মেয়ে


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২৩ বছরের মিচেয়েলা কোকেন স্মাগল করার অভিযোগে পেরুর লিমায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন। ব্রিটেনের মডেল মিচেয়েলার জীবনটা ছিল উশৃঙ্খলায় ভরা। মিচেয়েলা তাঁর ভ্যানিটে ব্যাগে ভরে দেড় লক্ষ মার্কিন ডলারের নিষিদ্ধ ড্রাগস নিয়ে যাচ্ছিলেন স্পেনে। বিপত্তিটা বাধে পেরুতে। সেখানে থেকেই বদলে গেল ওর জীবন। পেরু পুলিস ওকে গ্রেফতার করে ভরে দিল জেলের কুঠুরিতে। সে ভয়ানক জেল। মিচেয়েলার জীবনযাত্রার সঙ্গে কোনও মিল নেই। জেলটায় বাথরুম নেই, ড্রেনের জলই খেতে হয়। খাবার খুব কম। মিচেয়েল ধরেই নিয়েছিল সে মরে যাবে। কিন্তু মিচেয়েলের সৌন্দর্য আর বুদ্ধিমত্তা তাঁকে জীবনে ফেরাল।


দেখুন- সোনাগাছিকে নিয়ে তথ্যচিত্র



জেলার তাঁকে খুব পছন্দ করত। মিচেয়েলের জন্য সে খাবার এনে দিত। ফেসবুক ব্যবহার করতে দিত। পড়াশোনা করার সুযোগ দিত। মিচেয়েল যেন অক্সিজেন পেল। মিচেয়েলের সঙ্গে কোনও ড্রাগস পাচারকারী সংস্থার যোগাযোগ নেই বুঝতে পেরে তাঁর কাছে সরাসরি চিঠি পৌঁছে যেত। মিচেয়েলকে তাঁর দেশ থেকে বাবা-মা বন্ধু-আত্মীয়রা চিঠি তো লিখতই, সঙ্গে আসত থাকল প্রেম পত্র। তিন বছর জেলে ছিল মিচেয়েল, অন্তত ৫০০ খানা প্রেমপত্র সে পেয়েছে। প্রেমপত্রের সঙ্গে অনেকে গিফটও পাঠিয়েছে। গিফট হিসেবে ছিল বিড়াল ছানা। জেলের নিরাপত্তা কর্মীরা তো বটেই জেলের মনোবিদও বিয়ের প্রস্তাব দেয় মিচেয়েলকে। সেসব প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় তাঁকে হুমকি শুনতে হয়েছে। এমনও বলা হয়েছে, বিয়ে করলে তবেই জেল থেকে মুক্তি মিলবে। না হলে জেলেই পচে মরবে।



মিচেয়েলের জাদুতে জেলে এল নতুন জীবন। মিচেয়েল তাঁর সহবন্দীদের নিয়ে সেলুন খুলল। বিনিময়ে সে মোবাইল ব্যবহার করার সুবিধা পেল।


অবশেষে মুক্তি পেয়ে ঘরে ফিরেছে মিচেয়েল।