ওয়েব ডেস্ক:  দৃশ্য ১- রাতের অন্ধকার জেলের কুঠুরিতে বসে তিন বন্দী জেল থেকে পালানোর ছক কষছে। ২ জন খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত। অপর জনের অভিযোগ খুনের চেষ্টা। আলাপ আলোচনা চলার পর ঠিক হল পরের দিন পালানো হবে। ব্যবস্থা সব 'রেডি'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দৃশ্য ২ - পরের দিন সকাল। চারিদিকে কড়া পাহারা। উঁচু উঁচু দেওয়াল তোলা জেলের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আগের দিন রাতের সেই তিন কয়েদি। হঠাত জেলখানার আকাশে ঘুরপাক খেতে শুরু করল চপার। দেওয়াল থেকে ঝুলে পড়ল লম্বা দড়ি। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে শুরু করলেন দুই কয়েদি। প্রথম জন সহজে বিনা বাধায় ওপরে উঠে গেলেও মুশকিলে পড়েন দ্বিতীয় জন। হাতের গ্লাভসের জন্য দড়ি থেকে পিছলে যায় হাত। নীচের দিকে খানিকটা নেমে আসেন। কিন্তু হাল ছাড়লেন না। হাত থেকে গ্লাভস খুলে ফের উঠতে শুরু করলেন।


দৃশ্য ৩-  দেওয়ালে লাগানো সিসিটিভিতে ধরা পড়ে গেছে পালানোর ছবি। সতর্ক হয়ে গেছে পাহারা। চারিদিকে বাজতে শুরু করেছে অ্যালার্ম।


দৃশ্য ৪ - ততক্ষণে ২ বন্দীই পৌঁছে গেছে জেলের ছাদে দাঁড়িয়ে থাকা চপারের কাছে। পুলিস ছাদে পৌঁছানোর আগেই চপারে চেপে উড়ে যায় ২ বন্দী।


গল্পটা চেনা চেনা লাগছে তো। লাগারই তো কথা। সিনেমার চিত্রনাট্য তো এমনই হয়। কিন্তু এটা চিত্রনাট্য নয়। ঘোর বাস্তব। এরকম নাটকীয় ভাবেই ২০১৩ সালে কানাডার এক জেল থেকে পালিয়েছিল ২ কয়েদি। তবে সব ভাল হলেও শেষটা এখানে ভাল হয়নি। শেষ সিনে চপারকে ট্র্যাক করে ধরে ফেলে পুলিস। জেল থেকে পালানোর অপরাধে ওই ২ কয়েদির আরও ১৫ বছরের জেল হয়। সঙ্গে শাস্তি হয় তাদের সাহায্যকারী চপারের পাইলটেরও।