নিজস্ব প্রতিবেদন: যে কোনও লেখকেরই এক এবং অদ্বিতীয় শক্তি তাঁর চিন্তার স্বাধীনতা, তাঁর ভাবনার মুক্তি। লেখকের কলমে লাগাম পরানো মানে তাঁর সৃষ্টিশীলতার ঝরনাধারায় গতিরোধ। তাঁর অকৃত্রিমতায় জল মেশানো, মেশাতে বাধ্য করা। অথচ যুগে যুগে দেশে দেশে রাষ্ট্রশক্তি এমনটাই করতে চায়, করে। আর তাতে ক্ষতি হয় সাহিত্যর, শিল্পের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এভাবে যাঁরা বিশ্বজুড়ে নিন্দিত, অত্যাচারিত, উপেক্ষিত, নিপীড়িত তাঁদের সম্মানের জন্য তাই একটি দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ, ১৫ নভেম্বর সেই দিন। আজই 'ডে অফ ইমপ্রিসনড রাইটার্স'।


দিনটি প্রতি বছর বিশ্ব জুড়ে উদযাপিত হয়। এই দিনে এই জাতীয় বন্দি বা শাসিত লেখক-শিল্পীদের স্মরণ করা হয়, শ্রদ্ধা জানানো হয়, সমর্থন জানানো হয়। এই ধরনের লেখকদের একদা ক্ষুণ্ণ হওয়া মানবাধিকার রক্ষার সঙ্কল্প গ্রহণ করা হয়। লেখকেরা যাতে তাঁদের রুদ্ধ কণ্ঠ ছাড়তে পারেন, সেই নৈতিকতার ভিতের উপর ফের দাঁড়ানোর শক্তি অর্জন করতে পারেন সেই পথের দিকে তাকানোর প্রেরণা অর্জন করা হয়। ১৯৮১ সালে এই দিনটি প্রথম পালন করা হয়। উদযাপন করে ''পেন ইন্টারন্যাশনাল'স রাইটার্স ইন প্রিজন কমিটি''।


কবি কাজী নজরুল ইসলাম ব্রিটিশদের রোষে পড়েছিলেন। শরৎচন্দ্রের 'পথের দাবী' ব্রিটিশদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিল। অনেক পরে বুদ্ধদেব বসুর রচনা নিষিদ্ধ হয়েছিল। সমরেশ বসুর লেখাও শাসকের কোপে পড়েছিল। বাংলার জল-মাটির বাইরেও অসংখ্য লেখক কোনও না কোনও সময় শাসকের রক্তচক্ষুর মুখোমুখি হয়েছেন। সাম্প্রতিক কালে এ ক্ষেত্রে সলমন রুশদি বা তসলিমা নাসরিন সব চেয়ে চর্চিত নাম।  


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Radio Signals: সৌরজগতের বাইরে থেকেও ধরা দিল রেডিয়ো সিগন্যাল!