নিজস্ব প্রতিবেদন- ইরাকের (Iraq) মোসুল প্রদেশের ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া একটি ইমারত থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক জঙ্গির মৃতদেহ। বেশ কয়েকটি কঙ্কালও উদ্ধার করেছে সেনা। শুধুমাত্র এই ইমারতের ধ্বংসস্তুপ থেকেই এখনও পর্যন্ত ২৩টি জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ইরাকের Army মনে করছে, সব কটি শব ইসলামিক স্টেট (IS) জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের। টাইগ্রিস নদীর তীরে রাস উল কউর এলাকায় বহু ইমারত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। সেখানেই ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ শুরু করেছিল সেনা। আর তখনই একের পর এক মৃতদেহ বেরিয়ে আসে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

2017 সালে ওই শহর যুদ্ধবিধ্বস্ত হয়েছিল। ওই এলাকায় কয়েকশো মানুষ মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু গত তিন বছরে একবারও ওই  এলাকা থেকে মৃতদেহ উদ্ধারে নামেনি কেউ। ফলে ধ্বংসস্তুপের নিচেই চাপা পড়ে ছিল কয়েকশো মৃতদেহ। ইরাকের (Iraq) রাজধানী বাগদাদ থেকে ৪০০ কিমি উত্তরে ভয়ঙ্কর লড়াই চলেছিল কয়েক মাস ধরে। তখনই বহু IS জঙ্গি ও কট্টরপন্থী সংগঠনের নেতারা মারা পড়ে। প্রাণ হারান বহু সাধারণ মানুষও। এতদিন পর ওই এলাকায় মৃতদেহ উদ্ধারে নেমেছে সেনা। ব্যাপক বোমাবাজির জেরে  রাস উল কউর এলাকার প্রায় সব ইমারত ধুলোয় মিশে গিয়েছিল।


আরও পড়ুন-  ফের সেনার হাতেই Myanmar; সামরিক অভ্যুত্থানে আটক Suu Kyi, উদ্বিগ্ন ভারত


২০১৭ সালে প্রায় নমাস ধরে লড়াই চলেছিল। তার পর ইরাকের প্রশাসন মোসুল এলাকা জঙ্গিমুক্ত বলে ঘোষণা করেছিল। ২০১৪ সালে ইরাকি সেনাকে জব্দ করে ওই এলাকা দখল করেছিল জঙ্গিরা। প্রায় ৪ হাজার সেনা কর্মীকে বন্দি করে রেখেছিল জঙ্গিরা। পরে তাঁদের হত্যা করে তারা। নির্দিষ্ট জায়গায় ওই সেনাদের মৃতদেহ দাফন করেছিল জঙ্গিরা। পরে সেনা ওই এলাকা থেকে সেনা কর্মীদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল।