ওয়েব ডেস্ক: প্রেম বড়ই মধুর, প্রেম বড়ই নিষ্ঠুর। প্রেমের নিদর্শনে ইতিহাসের পাতায় আছে রোমিও-জুলিয়েট, আরব্য রজনীর লায়লা-মজনু, আছে অনিমেষ আর মাধবীলতারাও। বাউলের গানে প্রেম হয়েছে ব্রাহ্মণ পুত্র চন্ডী দাস আর ধোপার মেয়ে ব্রজকিনির। 'এক প্রেমেতে দুই জন মরে, এমন মরে কয়জনা?', এটাই ইতিহাস থেকে বর্তমান প্রেমের স্বার্ণাঙ্কিত অধ্যায়। একবিংশ প্রমাণ রাখল আরও এক প্রেমের কাহিনীর। তবে তা নারকীয়। প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি নয়, তাই প্রেমিকার চাই প্রেমিকের হৃদপিণ্ড। না, ভাবনায় নয়, চেতনায় নয়, সাহিত্যে নয়, কাব্যে নয়, বুকের বা দিক থেকে হৃদপিণ্ডটাই কেটে নিল উন্মাদ প্রেমিকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের খুলনায়। ২৮ বছরের শিপন ও ২১ বছরের সোনালির প্রেম কাহিনীর পরিণতি আতকে ওঠার মতই। সোনালির বিয়ের প্রস্তাবে রাজি নয় শিপন। কোনও উপায় না পেয়ে সোনালি ঠিক করল শিপনের হৃদপিণ্ডটার অধিকার নেবেন তিনি। আর সেটা পেতে গিয়ে সোনালি যা করলেন, তাতে তাঁর জীবনেও নেমে এলে শাস্তির খাঁড়া। পূর্ব পরিকল্পিত হত্যার দায়ে বাংলাদেশের উচ্চ আদালত সোনালির ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে।


হত্যার কথা স্বীকার করে নেয় সোনালি। প্রথমে একটি ড্রিংক্সের সঙ্গে ২০টি ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে শিপনকে খাইয়ে দেয় সোনালি। তন্দ্রাচ্ছন্ন শিপনের ওপর এরপরই সোনালি নামিয়ে নিয়ে এসে জীবননাশের মত নারকীয় অপরাধ। শিপনের বুক থেকে কেটে নেয় হৃদপিণ্ড। আদলতে এই জবানবন্দি দেয় বছর ২১-এর সোনালি।