জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বন্যা মাঝে-মাঝেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। জুনের পর থেকে এই অগস্টের তৃতীয় সপ্তাহব্যাপী দীর্ঘ সময়ে জুড়ে দেশটির কোথাও না কোথাও কখনও না কখনও অতি বৃষ্টি ও তার জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এতদিনে তার একটা ছবি মিলল। যে ছবিটি খুবই দুঃখের, দুশ্চিন্তারও। এক নাগাড়ে ভারী বৃষ্টির ফলে পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকা বন্যার জলে ডুবে গিয়েছে। এবং এই বন্যায় জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৯০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে আবার শিশু রয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশো এবং মহিলা রয়েছেন প্রায় দুশো। পাকিস্তান বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের দেওয়া এই তথ্য অনুযায়ী চলতি বন্যা পরিস্থিতিতে সেখানে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। ওই তথ্য থেকেই জানা যাচ্ছে, বন্যায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ১২৬ জন মারা গিয়েছেন। এঁদের বেশির ভাগই আবার মহিলা ও শিশু। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত পাক মন্ত্রী শেরি রেহমান এই তথ্য পেশ করেছেন। তিনি এই সংক্রান্ত কিছু ট্যুইটও করেছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এমনিতেই দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামলাতে নাজেহাল শাহবাজ শরিফের সরকার। এর উপর নানা কারণে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার শেষ নেই। রয়েছে আর্থিক অনটনও। আর তার সঙ্গে যোগ হয়েছে এই মারণ বন্যা। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বন্যা বিধ্বস্ত পাকিস্তানকে সহযোগিতা করার ডাক দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কাতারে রয়েছেন। সেখান থেকেই বুধবার তিনি এই কথা বলেন। পাকিস্তানের আর্থিক দুরাবস্থা কাটিয়ে তোলার জন্য আরব দেশগুলির কাছে বিনিয়োগ বা ঋণ হিসেবে আর্থিক সাহায্য চাইতে গিয়েছেন শাহবাজ।


আরও পড়ুন: Russian Attack in Ukraine: আশঙ্কাই সত্য হল? রুশ হামলায় ইউক্রেনে স্বাধীনতাদিবসেই মৃত্যু ২২ জনের


এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম বালুচিস্তান এবং পঞ্জাব প্রদেশে নতুন করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সেখানকার স্কুল কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। গোটা পাকিস্তানের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতিতে এই দুটি অঞ্চলই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব চেয়ে মর্মান্তিক পরিস্থিত সৃষ্টি হয়েছে কবরস্থানগুলিতে। সেখানে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় পরিজনের দেহ কবর দিতে গিয়েও সমস্যার মুখে পড়ছেন মৃতের পরিজনেরা। ফলত, এলাকায় কবর না দিতে পেরে স্বজনের দেহ নিয়ে তাঁদের অন্যত্র যেতে হচ্ছে।


জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে এই ভয়াবহ গোত্রের বর্ষা শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। আবহাওয়াবিদেরা জানাচ্ছেন, আগামী দুসপ্তাহ সেখানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে পাকিস্তানে যে-বন্যাপরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল এবার অবস্থা তার থেকেও খারাপ। বন্যার ফলে দেশ জুড়ে ১২৯টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে খাদ্য সরবরাহও ব্যাহত হচ্ছে। ফলে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে আরও একটি সংকট যুক্ত হয়েছে। হয়তো এরপর সেখানে স্থানিক মূল্যবৃদ্ধিও দেখা দেবে বলে আশঙ্কা করছে কোনও কোনও মহল। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)