নিজস্ব প্রতিবেদন— ব্রাজিলের ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অব মাতো গ্রাসোর ইকোলোজিস্ট আনা লুসিয়ে তোউরিনহো একটুও অবাক হননি। উহান থেকে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়ানোর খবর তাঁকে চমকে দিতে পারেনি। বনাঞ্চল মানবজাতিকে সংক্রামক ব্যধির হাত থেকে রক্ষা করে। পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হলে এবং বন উজাড় করলে এমন মারণ ভাইরাস কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে তা নিয়ে বহু বছর ধরে গবেষণা করছেন তিনি। লুসিয়ে জানিয়েছেন, বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস যখন নিজের উৎসস্থলে অর্থাত্ বিশেষ করে গভীর জঙ্গলে আবদ্ধ থাকে তখন সেটি মানবজাতির জন্য একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণ নয়৷ কিন্তু বন উজাড় করলে সমস্যার শুরু হয়৷ গভীর জঙ্গলের ভাইরাস তখন মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগেই বেশ কয়েকটি গবেষণায় বন উজাড়ের কারণে বাদুড়ের বাসা নষ্ট হওয়া এবং সেখান থেকে অজানা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল৷ পোল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারশর গবেষক আনিতা আফেল্ট তাঁর গবেষণায় মারাত্মক সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব এশিয়া মহাদেশ ছড়ানোর আভাস দিয়েছিলেন৷ কারণ গত ৪০ বছরে এশিয়া মহাদেশে মারাত্মকভাবে বন উজাড় হয়েছে৷ ২০১৮ সালে একটি গবেষণাপত্রে আফেল্ট লিখেছিলেন, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া (এসইএ)—তে সব থেকে বেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানকার সিংহভাগ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা বলতে কিছু নেই। তার উপর সেখানে নির্বিচারে বন উজাড় করা হচ্ছে৷ কোনও অঞ্চলে নতুন কোনও সংক্রামক ব্যাধির প্রাদুর্ভাব বা পুরনো সংক্রামক ব্যধি নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার সবরকম শর্ত এই অঞ্চলে স্পষ্ট৷


আরও পড়ুন—  লকডাউনে বন্ধ জুতোর দোকানে মিলল ২০০টি গোখরো সাপ, পিটিয়ে মারল উন্মত্ত জনতা


ব্রাজিলের ইকোলোজিস্ট আনা লুসিয়ে তোউরিনহো তাঁর গবেষণাপত্রে লিখেছিলেন, গভীর জঙ্গল আসলে ঢালের মতো৷ এই ঢাল মানবজাতির সঙ্গে বন্য প্রাণীর সংস্পর্শ আটকায়। বন্যপ্রাণী অনেক ধরণের অজানা জীবাণু বহন করে। বনভূমি কেটে ধংস করলে সেইসব ভাইরাস আমাদের শরীরে সংক্রমণ ঘটায়। বন্যপ্রাণী থেকে ছড়ানো এমন অনেক অজানা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার কোনও রাস্তা মানবজাতি খুঁজে পায় না।