নিজস্ব প্রতিবেদন: ইউটার্ন নিয়েও ‘ব্রেক’ কষলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১২ জুন সিঙ্গাপুরে কিমের সঙ্গে বৈঠক পাকাপাকিভাবে বাতিল না করে আলোচনার দরজা খোলা রাখলেন তিনি। শুক্রবার সংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “উত্তর কোরিয়া এই বৈঠক ভীষণভাবে চাইছে। যা দেখে আমরা খুশি। ১২ তারিখকে মাথায় রেখেই চলছি। দেখা যাক কী হয়!”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- গর্ভপাতের অধিকার ফিরুক, চাইছেন আয়ারল্যান্ডের ৭০ শতাংশ নাগরিক: সমীক্ষা


পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে হাঁটলেও যুদ্ধের আশঙ্কা সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করতে পারেননি কিম জং উন। এক বিবৃতিতে কিম জানিয়েছেন, আমেরিকা শান্তি চাইলে সেই পথে হাঁটবে উত্তর কোরিয়া। যুদ্ধ চাইলে তাতেও প্রস্তুত তারা। কিমের এমন ‘যুদ্ধবাজ’ মন্তব্যের পরই হোয়াইট হাউস বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। উত্তর কোরিয়াকে চিঠি দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, অসংযত আচরণ করেছেন কিম। তারা পরমাণু শক্তি জাহির করলেও অধিক শক্তিধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ঈশ্বরের কাছে মঙ্গল কামনা করি, ভবিষ্যতে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে না হয়।



আরও পড়ুন- বৈঠক বাতিল ট্রাম্পের, হাল ছাড়ছেন না কিম


ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পরও অত্যন্ত কৌশলী পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে উত্তর কোরিয়ার প্রশাসনকে। সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের পদস্থ অফিসার কিম কায়ে গোয়ান জানিয়েছেন, যে কোনও মূল্যে, যে কোনও পরিস্থিতে তাঁরা বৈঠক করতে রাজি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনও সমস্যা তৈরি হলে আলোচনার মাধ্যমেই মিটিয়ে ফেলতে আগ্রহী পিয়ংইয়ং। কখনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করে, কখনও বা সম্প্রীতির পথে হেঁটে আমেরিকার সঙ্গে খেলা করছেন না তো কিম! সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ট্রাম্পের সুচতুর উত্তর, সবাই খেলছে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা তো আরও ভাল করে জানেন।” তবে, হোয়াইট হাউসের অন্দরে অনেকটাই কোণঠাসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উত্তর কোরিয়ার কাছে মাথা নত করছেন ট্রাম্প এমন অভিযোগও শোনা গিয়েছে। কূটনৈতিক শিবির মনে করছেন, আসলে জল মেপে অত্যন্ত ধীর গতিতেই এগোতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।


আরও পড়ুন- কানাডার ভারতীয় রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণ, আহত কমপক্ষে ১৫