নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রজাতন্ত্র দিবস অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উপস্থিত থাকবেন কি-না সে বিষয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে এখনও। ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতি নিয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়নি হোয়াইট হাউজের তরফে। বুধবার, হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারা স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ বিষয়টি নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, ২০১৯-এর প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ১৫ বছরে স্নাতক! মার্কিন অ্যাকাডেমির সর্বোচ্চ সম্মান পেল ভারতীয় বংশোদ্ভূত পড়ুয়া


সারা স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের আগে ফের দুই দেশের প্রতিরক্ষা এবং বিদেশ মন্ত্রকের ২+২ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস নেতৃত্বে একটি দল খুব শীঘ্রই দিল্লি আসছেন বলে জানিয়েছেন সারা। ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে ২+২ বৈঠক করবেন তাঁরা। সারা বলেন, “দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতি করতে সর্বত্র প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।” আগামী সেপ্টেম্বরে এই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও পড়ুন- অসমে NRC-তে নাম না থাকা মানুষের দায় আমাদের নয়, স্পষ্ট করল বাংলাদেশ


উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে ২+২ বৈঠক জুলাইয়ে বাতিল করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বৈঠক বাতিল করার কারণ যদিও সুস্পষ্ট করেনি হোয়াইট হাউজের তরফে। জানানো হয়েছিল, খুব শীঘ্রই দুই দেশের দুই মন্ত্রকের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করবেন তাঁদের প্রতিনিধিরা।



২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে  প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন সস্ত্রীক প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদীর এ হেন পদক্ষেপ মার্কিন সম্পর্ককে আরও ত্বরান্বিত করে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলে। সম্প্রতি বাণিজ্য যুদ্ধে ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে হালকা চিড় ধরে। মার্কিন সংস্থা প্রস্তুতকারী গাড়িতে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোয় ভারতের উপর যারপরনাই বিরক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প। চাপে পড়ে ভারত শুল্ক অর্ধেক করাতেও খুশি নন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, পারস্পরিক শুল্ক নির্ধারণের পথে হাঁটতে হবে ভারতকে। অর্থাত্ ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘শূন্য শুল্ক’ চাপালে ভারতকেও সেই পথে হাঁটতে হবে। তবে, ট্রাম্পের এ প্রস্তাবে সে ভাবে আমল দেয়নি দিল্লি। অন্য দিকে ইরানের কাছে জ্বালানি তেল কেনা নিয়েও ক্ষুব্ধ ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি সুরে জানিয়েছেন, নভেম্বরের মধ্যে ইরানের কাছে তেল কেনা বন্ধ না করলে, কড়া নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে ভারত।


আরও পড়ুনতাপমাত্রা আরও বাড়ছে! দাবদাহে বছরে মৃত্যু হবে ৫২ হাজার মানুষের!